লাল হলুদের রঙ-ছায়াতে নাচছে সবাই তাধিন-ধিন,
আজ এসেছে পহেলা বৈশাখ তাইতো সবার খুশির দিন।
বটের ছায়ায় বসছে মেলা ঘুরছে দাদু মুখে সুপারি,
লালন গানে ভাসছে ভক্ত একতারার সুরে গায় বয়াতি।
কুমার, কামার, চাষী, তাঁতী ছুটছে সবাই সময়-প্রভাতী,
দেহে সবার খুশির জোয়ার মনে মনে শান্তিকামী।
পৌঢ়-বাবার প্রিয় কিশোরী কিনছে পুতুল স্বদেশ মাটির,
নাগরদোলায় ঘুরছে শিশু খাচ্ছে বাতাসা মাতৃভূমির।
রৌদ্র-খড়া স্নান করে সব নতুনত্বে প্রাণ জুড়ায়,
ছোট্ট শিশুটি পল্লী-পথে মেলায় কেনা ঘুড়ি উড়ায়।
এমন করে বৈশাখ আসে পল্লী মায়ের আঁচল তলে,
ইলিশ আর পান্থা-ভাতে বৈশাখ আসে রমনা বটে।
হাজার টাকার এক থালা ভাত খাচ্ছে যুবক লাল-যুবতীর,
কাকের সাথে পথের শিশু খাবার আশায় (ঝুটা) ঐ আমোদির।
এই যদি হয় সংস্কৃতি বুঝেনা কে খেলো কে একাহারী,
চাইনা আমি এমন সকাল মুখ-থুবড়ে থাকুক কিরণমালী।