তোমার কি সহ্য হয়;
যখন আত্মদ্রোহী বিমান হামলায় মাটির নিচে চাপা পরে থাকা ছিন্নভিন্ন লাশ গুলো দেখো?
জানো, রক্ত চুষতে চুষতে ধূলি-বালিও আজ পরিতৃপ্ত,
তবুও মোড়লরা রক্তমাখা হাতে-
চায়ের কাপে চুমুক দিতেই ভালবাসেন।

আচ্ছা, তুমি কি পৃথিবীতে একাই এসেছো?
তোমার কি মা, বোন নেই?
নাকি তুমি বেশ্যার ঘরে জন্ম নিয়েছো!
আমার সিরিয়ার বোনটার লজ্জাস্থান-
রাইফেলের আঘাতে থেঁতলানো কেনো!?

ঐ তো, পৃথিবীর বে-ওয়ারিশ মা'টা পরে আছে ইটের চাপায়;
হয়তো তার সতীত্ব'ও কুকুর গুলোর আনন্দের খোরাক হয়েছে,
কুকুর গুলোকে একটু "ছেই" করছনা কেনো?
নাকি এই অসভ্য গুলো পুতুল রুপে রাখওয়াল বানিয়েছে তোমাকে?!

ঐ যে দেখো,
ছেলেটা কি পারবে;
তার পিঠের স্কুল ব্যাগ হলে হয়তো পারতো,
এতো রক্তে ভেজা বাবার লাশ!
ও আকাশ?
মুখ ভার কেনো?
আচ্ছা, একটু কেঁদে ভিজিয়ে দাও ছেলেটাকে;
চোখের জল গুলো যদি আবার উপরওয়ালা দেখে ফেলে,
সর্বনাশ হবে তখন!
মোড়লদের গোল টেবিল নড়বর করে যদি!?
তুমি ভয় পেয়োনা ভয় পেয়োনা;
তুমি তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে পরমেশ্বরী মেহমান!।

একটা কথা আজ ভিষন জানতে ইচ্ছে করছে,
বলবে কি?
নাকি রঙিন পানিয়র ঘোর এখোনো কাটেনি?
প্লীজ একটু উঠে দাঁড়াও;
পরে না হয় ফের কয়েক সিপ গোল টেবিলে পান করে নিবে।

বাহ, দাঁড়াতে পেরেছো দেখছি!
এভাবেই যদি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ দেখতে পারতে
তোমার প্রসাদের বাহির ভেতর!?
,
বলতো ঐ মৃতপুরীর ক্ষুধার্ত শিশুটি যখন তোমার কাছে বলে "আমরা-তো বুলেট খাইনা, দুটো রুটি দিন না"!!

উষ্কসুষ্ক মলিন চেহারার রক্তমাখা খুকি মেয়েটা বলে "আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো"!!

মানবতা,  তুমিই বলো কি জবাব দিবে?
নাকি লজ্জায় লুকিয়ে নিবে নিজের লজ্জিত মুখ??