বেদুইনের পরিচয় জানতে এসো না,
এতটুকু জানো;
আমি পৃথিবীর প্রথম বাবার
অপত্যস্নেহের মৃত্যুর বন্ধু।
আমার জন্ম, মৃত্যু কবে?
মেনে নাও;
আমি পৃথিবী সৃষ্টির প্রথম ধ্বংস উপন্যাস,
আমার জন্ম মৃত্যু নেই।
জানতে চাও বলার শব্দ মুছে গেছ কবে?
তবে শোনো;
হিংসার আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রথম ভস্ম সভ্যতার বালুতে
খোদাই করা কাকের সৌন্দর্যের আওয়াজে।
আর ঘর বাড়ির কথা বলো না-
বর্তমান নিবাসে বেড়াতে এসো;
সুধী ধনুর্ধর সমাজের নেশাতুর পাড়ায়।
রং ভালোবাসি কিনা?
ভীষণ ভালোবাসি;
নির্দিষ্ট সময় জন-চত্বরে "স্বপ্ন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি'-
লাল-নীল রঙে স্নান করিয়ে
পবিত্র করতে হয় জন্য।
খাবার?
আমার নির্দিষ্ট কোন খাবার প্রিয় নয়,
তবে;
আত্মাহুতি দেয়া মেয়েটির
ছিঁড়ে ফেলা অপহৃত ইজ্জতের
লাশকাটা ঘরের খুলে রাখা
কলিজা, ফেফরা বেশ প্রিয়।
আর কিংবদন্তি হবার পর থেকে
কোথায় ফুর্তি করি?
হ্যাঁ বলছি;
পাশের বালিশে কালিমা পড়া বৌয়ের
আঁচলে বেপথুমান সাধুত্ব রেখে-
নিষিদ্ধ পল্লীর রঙিন বিছানায় হেলান দেয়া
বেআবরু অপ্সরীর পান করানো মদের চুমুকে চুমুকে।
                 __
শুদ্ধতার দৃষ্টিতে, জন্মের যখন-
প্রবেশিকা দেখবার আমার প্রয়াস,
ধাত্রী বলে;
প্রসব করেই পালিয়েছে সে-
মা ডাকবি কাকে?
অবশেষে তাই এই প্রজন্মে এসে
মিছিলে যেতে চাইলাম,
দেখি;
অবশ পাঁজর,
দাঁড়াতে পারছি না মহা শক্তিধর
যৌবনের কাঁধে ভর করেও!
ভাবলাম মেধার মশাল জ্বালাই,
অন্ধকারে হাত বাড়াই;
জ্বালানির অভাবে শলতা পুড়ে ছাই,
জ্বলবে কি ভাবে, হায়?


            ২২|১১|২০১৮
                চট্টগ্রাম