একদিন সারাদিন
তোমাকেই ভেবেছিলুম প্রিয়
রাত্রে স্বপনে এসেছিলে তুমি...
ঘুম পরী হয়ে ।।
অতঃপর ;
ভোর হলো
পুবের লালচে সূর্য ঠিক মাথার উপরে এলো,
বিকেল গড়িয়ে গোধূলী...
ছোট্ট গাঙ্গের পাশের সবুজাভ বিস্তীর্ণ মাঠ ঘেষে
আমি হাটলুম,
অবশ্য হাতে একটা ঘাসফুল ছিল
পকেটে ছিল কবিতার ভাঁজ
চোখে ছিল অপলক চাহনি...
তোমাকে খুজেঁছি হেথায় ।।
দেখা করার তীব্র ইচ্ছা নিয়ে
পশ্চিমের সাতরংয়ের সাথে মিশে গিয়েছি আধাঁরে...
প্যাঁক প্যাঁকের দল বাসায় ফিরেছে,
মীণরাজ ছল ছল করেছে স্বচ্ছ পানিতে
কুয়াশার আবরণে ঢেকে গেছে গাঁয়ের নিস্তব্ধতা
জারুল গাছের হলদে পাখিটি নীড়ে ফিরছে...
আমি নিথর বসে আছি...
সেদিনের পেঠের পূজোঁ কিংবা স্নানের কথা আমার খেয়াল নেই
ভাবনার আলিঙ্গনে জড়ো হয়েছে
সাঝেঁর হাওয়া...
শুভ্রতার শিহরণে কবিতার ভাজঁ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে
কিংবা অনুরাগে নয়তো উপহাসে
আবার ভেসে যাচ্ছি চক্রবাকে...
কুয়াশায় শরীর থর থর করেছিল সে রাতে
হুক্কাহুয়ার চিত্কারে খানিকটা ভয় পেয়ছিলুম ।
একদিন সারাদিন এলোমেলো
কেটে গেলো -
চক্রবাকে সে রাতেও
ঘুম হয় নি সেই ভয়ে ;
যদি আবার ঘুম পরী আসে ।।
প্রিয় তো সে অপ্রিয় বটে
খামোখা ভেবে মরি কল্পনায়
কিংবা স্মৃতির উল্টো মলাটে ।