নন্দিনী তোমার আলতো হাসি,
অপলক চাহনি কিংবা মন্ত্রমায়া
ভালই ছিলো ।

ছিলে নিঃশ্বাসে
অকৃত্রিম বিশ্বাসে
মধ্যাহ্ন রৌদ্রে ছায়া হয়ে ,
পৌষের সরিষা ক্ষেত
এবং মরা নদীর বেড়ে ওটা বালুচরের মত ।।

অতঃপর
সাইমুম এলো,
এলো সিডর, হুদহুদ, আইলা, প্রিয়া ।
পারমাণবিক মরণাস্ত্রসদৃশ বাস্তবতা এলো ।

হিরোশিমা-নাগাসাকির মত বিধ্বস্ত হলো আবেগ ।
যার কর্ণকুঠিরে ছিল হাজারো স্বপ্ন,
জীবন্ত দীর্ঘশ্বাস ,
ভবঘুরে বেঁচে থাকার অক্সিজেন ।
কৃত্রিম পৃথিবী, রামধনু ,লেক, সাগর-মহাসাগর ।।

সমুদ্রস্নানের মহাবিস্ফোরণ হলো ।
বিধ্বস্ত হলো নগর...

সকালের পাউরুটি, দুপুরের সজ্জিত টেবিল কিংবা রজনীর পেঠের পূজোঁ অসহ্য আমার ।
অখাদ্যের মত ভক্ষণ করি এসব ।

বাস্তবের রূপায়নে খেলতে আসা বিধ্বস্ত নগর সভ্যতার এক যাযাবর আমি...

ভঙ্গুর ইটপাটকেল,
শৈওলা পড়া দেয়ালে,
দূষিত খালের খরতরে তোমার প্রতিচ্ছবি খুঁজি প্রায়শঃ

অতঃপর চক্রবাকে মৃত্যু দেখি আবেগের ।
লাশ হয়ে ভাসমান এক প্রতিচ্ছবি আমার নোটবুক ,কবিতার ভাঁজ ।

ভালো থেকো অপ্সরী ,
তুমি না হয় বেঁচে থেকো অনন্তকাল ।অন্তত তোমার স্বপ্নই রূপায়িত হোক বাস্তবে...

মানিব্যাগের শুকনো রজনীগন্ধার
পাপড়িটা আমি না হয় সুরমার
জলে ছুড়ে দেবো ।

ক্রীণব্রীজের গোধূলীর
হাসিতে আমি না হয় মিশে গেলাম
যান্ত্রিক কোলাহলে ।

২৯/১২/২০১৪ইং
সিলেট, বাংলাদেশ ।