মহা পরাক্রমশালী ওহে প্রভু তুমি নিরন্তর,
বিস্মিত হয় সদা আমি ওহে প্রভু তুমি নিরাকার।
তুমি সুনিপুণ শিল্পীপনায় ধরণীর বুকে গড়েছ মহাপর্বত,মহাসমুদ্র
একটি তাদের অতি উচ্চ,অন্য টি মহা গভীর।
ধরণী তুমি সৃজন করেছ- তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থলে
তোমার অপার মহিমায়, মহা পর্বত বিলীন হবে সমুদ্রের গভীরতায়।।
সবুজের সমারোহে সাজিয়েছ বিশাল পর্বত মালা
মেঘমালা আছড়ে পরে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায়।
পাহাড়ের চূড়ায় বেড়াতে এসে পেলাম মেঘের ছোঁয়া
দেহ মন শিহরিত হল-মেঘের পরশ পেয়ে।।
তৃষ্ণার্ত মনটা আমার বড় আনচান করে
পর্বতের সব অপরূপ সাঁঝ, পরখ করতে চাই।
আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথ,ভাবতে অবাক লাগে
কোন মিস্ত্রিরি বানাইয়াছে সুনিপুণ হাতে।
চলার পথে স্মরণ করি,ওহে প্রভু তোমায় বারংবার
এই বুঝি যাবে প্রাণ টি আমার,আসবে আযরাঈল (আ:)।
সৃষ্টিতে অনন্য, ওহে প্রভু তুমি মহা পরাক্রমশালী
তোমার গুণগান হবেনা কভু শেষ,
ওহে প্রভু তুমি দু- জাহানের মালিক।।
দুই দ্বারে সুউচ্চ পাহাড়, মাঝে বহমান নদী
কলকল করে প্রবাহমান পানির স্রোত ধারা
প্রকৃতির অলংকারে সুসজ্জিত চারিপাশ
মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রই তোমারই আঁকা ছবি।।
পাথর,বালি,মাটিতে গড়া সুউচ্চ পর্বতমালা
নদীর প্রবাহমান স্রোতে স্খলিত বিশাল বিশাল পাথর
এ যেন এক পাথরের রাজ্য।
লোকে বড় পাথরের একটিরে কয়- রাজা পাথর ,
অন্যটিরে কয়- রাণী।
বন বনানী,পাহাড়,সমুদ্র সবই তোমার দান
কেমন করে করিলে সৃজন!প্রকৃতির আঁকা এ চমৎকার ছবি?
তোমার অপার সৃষ্টিশীলতায় –তুমিই অনন্য
তাইতো তুমি সর্বজ্ঞ মহা স্রষ্টা রব্বূল আলামিন।।