কাকুতি মিনতি করতে আসিনি
আসিনি আমি কাঁদতে।
এসেছি আমি অধিকার চাইতে
আমিও চাই আমার অধিকার।
পোষাক শিল্পের শিল্পী আমি,পরিচয় এইটুকু
কাক ডাকা ভোরে দৌড়ায় আমি
ছুটে চলে যাই অফিস পানে
ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা-রাত্রি
নেই অভিযোগ,একটু মনে।
যৌবন-বসন্তের সোনালী দিন
ক্ষয়ে গেল,স্বপ্নের এ বিভোরতায়।
দৈহিক-মানসিক উভয় শ্রমে
কাজ করে যায় আপন মনে
তাকিয়ে থাকি আশার পানে
চলতে ফিরতে ভাবতে ভাবতে
কেটে যায় নিশি রাত।
দিনের পর দিন করছি পরিশ্রম
পাচ্ছি কয়টা,টাকা মাইনে
সেই মাইনে-তে বসিয়েছে ভাগ
আয়কর নামক যন্ত্র।
দেখছি আমি আধার কালো
নেই ভবিষ্যতে আশার আলো
এত বছরের ’কর’-এর টাকা
আমার তরে শূন্য।
আমার মত সবার ’কর’-এ
চলছে রাষ্ট্রতন্ত্রের সকল গুণী জন।
কর্ম তাঁদের সরকারী দপ্তর
মর্মাহত হয় না,এতটুকুন তাতে!
সপ্তাহে দুদিন অফিস করে
বেতন ভাতা সবি পাচ্ছে
আনন্দে যাচ্ছে বেশ!
নিয়ম আছে মোদের তরে
চাকুরি থাকবেনা,অনিয়মিত হলে
বেতন পাব শতের মাঝে ষাট
প্রজাতন্ত্রের এমন একটি নিয়মে
বিস্মিত হই আপন মনে!
তবে কি মোরা করেছি অপরাধ?
এই দেশেইতে জন্মে!