নীল আকাশে নক্ষত্র তাঁরা ,জ্বলছে ঝিকিমিকি!
চন্দ্র ,সূর্য,গ্রহ পুঞ্জ চলছে দিবানিশি।
আপন আপন কক্ষ পথে করছে সন্তরণ
তোমার অপার শিল্পপনায় ঘুরছে সর্বক্ষণ।
চলার পথে বাঁধ সাধে না নক্ষত্র ও গ্রহ পুঞ্জ,
আপন বলয়ে করছে তারা শুধু আবর্তন।
কি অপরূপ সৃষ্টি তোমার,তুমি অনন্য
আসমান যমীন সবই তোমার,তুমিই সর্বশক্তিমান।।

নদ –নদী, সাগর –মহাসাগর সর্বদা প্রবাহ মান
একই সমুদ্রে দুটি স্রোত ধারা বহে চলমান
উভয়ের মাঝে করেছ প্রাচীর ,তুমিই সর্বজ্ঞ রহমানির রাহিম।
কভু মিশে নাতো ,একে অপরের সাথে
যদিও বহমান তাদের মাঝে, প্রবল খরস্রোত ও উত্তাল তরঙ্গ,
একটি তাদের তৃষ্ণা নিবারক ,অন্য আরেকটি বিস্বাদ।
কি এমন কুদরতি তোমার! ওহে প্রভু, তুমিই  সর্বশক্তিমান।
নভোমণ্ডল,ভূমণ্ডল সবি তোমারই দান
আকাশকে করেছ  সমুন্নত,স্থাপন করেছ মানদণ্ড
সুনিপুণ শিল্পী তুমি,ওহে চিরঞ্জীব নিরাকার ।।

সুউচ্চ চূড়ায় ,পাহাড়ে পাহাড়ে সাজিয়েছ ,অপরূপ সমুদ্রের ঢেউ
বিমুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রই গহীন অরণ্যে!
তোমার সৃষ্টি এত অপরূপ,না জানি তুমি কত সুন্দর?
বিমূর্ত নয়নে ভাবি আহা ,তুমি মহিমাময় মহানুভব।
সেজদায়রত নক্ষত্র রাজী ও বৃক্ষ লতা,
তোমার নামে করছে কলরব, বনের পশু ও পাখি
তোমার গুণকীর্তন হবেনা  কভু শেষ,
ওহে প্রভু, তুমিই  অন্তর্যামী।
তোমার তুলনায় তুমি  অনন্য
ওহে প্রভু, তুমিই রহমানির রাহিম।।