ভাবিনি তুমি এভাবে ফিরে আসবে!
তোমার ফুরিয়ে যাওয়ার প্রতিটি দিন
যেন আপন করে নিয়েছিলে উল্লসিত বদনে!
মাঝে মাঝে নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে যেতাম
চোখের সামনে হাসিমুখের ফুরিয়ে যাওয়া দেখে।
বড্ড অসহায় ভাবে প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুকে আলিঙনের
বিভৎস দৃশ্য দেখেও চুপ থাকতাম এই ভেবে
'হয়তো তুমি তখনো জানো নি তুমি ফুরিয়ে যাচ্ছো দিনে দিনে'।
সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, যেন আরও বেশি আপন করে নিচ্ছিলে আমায়
পরিবেশ -প্রতিবেশ ; সবকিছু।
যেন ভীষণ নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী তে তুমি!
কারো বুঝার উপায় নেই অসম্ভব যন্ত্রণা শকুনের মত খুবলে খাচ্ছে তোমায়।
কিন্তু কেবল আমি জানি,
কতটা অসহায়ত্ব ঘিরে রেখেছিলো তোমার চারপাশ!
বিষ্মিত হয়ে দেখতাম চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে দেয়ার অবিশ্বাস্য উল্লাস।
জানতাম, দেহসেল নষ্টের সাথে পাল্লা দিয়ে ভেঙে পড়ে মনের জোর
অথচ কতটা নিখুঁতভাবে সে ধারণা বদলে দিলে তুমি!
বুকে মুখ লুকিয়ে যেদিন বললে,'বলো, হারাতে দিবে না কোনদিন'
ভেতরটা যেন মোচড় দিয়ে উঠলো আমার,
সেদিনের মত ততটা অসহায় লাগেনি কোনদিন।
তবুও নির্লজ্জভাবে উত্তর দিয়েছিলাম;
আমি বেঁচে থাকতে তোমাকে আলাদা করে এমন সাহস কার?
তীব্র ভালবাসার চাহনিতে একবার চোখের দিকে তাঁকিয়ে শুধু মুচকি হাসলে!
নরকযন্ত্রণা বুকে নিয়ে কেও এভাবেও হাসতে পারে!
কত রাতে ঘুম ভেঙে দেখি তুমি পাশে নেই,
কত রাত জায়নামাজে বসে নিজেকে ভিজিয়েছো অশ্রুজলে,
কেবল আমি ই জানি।
শাশ্বত নিয়মের বলী হয়ে তোমার চলে যাওয়া মানতে পারি নি কোনদিন।
তবুও বড্ড অসহায় আমি,
কেও দেখেনি কোনদিন, কেও বুঝে নি
কখনো কেও শোনেনি বুকের ভেতর তীব্র হাতুড়ি পেটানোর শব্দ।
তুমি এলে, ফিরে এলে আবার!
তবে সত্যি কেন নয়? স্বপ্নে কেন তবে?
(বিচ্ছেদ / ঢাকা)