মহাকালের ধুলিমাখা পথে বাঙালির হাঁটা অবিচল,
চোরাবালির মরুছায়া ভোলে মরীচিকায় অতল।
বহুকালের আঁচলে অতলে,
নিঃস্তব্ধতার বুকে সন্দেহের কাদাজলে।
ভয়ঙ্কর ! নিঃশ্বাস ভীতিকর
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাত ভর।
এতো আহাজারি! কাল যুগ পেরিয়ে
নিরবতা ভাঙ্গে গ্রীষ্মের দাবদাহে,
হেঁটে চলা বাঙালির কালবৈশাখী রাতে।
স্বজাতির হাসি কাঁন্না প্রেমে।
সাহস বিদ্রোহ আর আনন্দ,
বিনাশের বাঁশি শুষে নেয়।
তবুও, সহস্র বছর
হেঁটে চলা বাঙালির মেঠোপথে।
কেঁপে ওঠে কোপানলে বসতি
নগর পথবনিতার ঘৃণ্য রাতে।
আসন্ন মৌন ধ্রুবতারায়,
মানস সরোবরে আলোড়ন তোলে
মহাসুখচক্রের বিস্ফোরিত আগুনের তলে।
অসহিষ্ণু উত্তাপে দখল ফুটপাত
অসভ্যতার কোন এক প্রভাত।
মাতাল বাতাসে ওড়ে হলুদ শাড়ির আঁচল
বসন্ত বাতাসে খাঁ খাঁ রোদের বৈশাখী দোল।
মহুয়ার ঘ্রাণে ধুলিমাখা পথে চলা বহুকাল
পূর্ণিমার উজান টানে যুগ যুগান্তর মহাকাল।
কৃষ্ণচূড়ার লাল-সবুজের মিছিল সারাবেলায়,
আহাজারি! বাঙালি কাঁদে কালবেলায়।
ষড়যন্ত্রের এ উর্বর ভূমিতে ষড়যন্ত্র অহরহ চলে,
কেঁদে কেঁদে ভুলি আবার নতুন ষড়যন্ত্রে উঠি দুলে।
(২৩ এপ্রিল ২০১১)