অবাক কাণ্ড, এই বাংলায় আপন সখ্যতায়
দিন রাত কেটে যায় নিরব শূন্যতায়!
তারপর চলে যায় - চলে যায়,
অথচ, এই বাংলায় একই শহরে থাকি
কোন এক নিভৃত নিরালয়ে।
চলি আবার একই ফুটপাতে।
অবার কাণ্ড! বহুদিন পরে সেই সখ্যতায়
ভালোবেসে ঘর বাঁধি এই বাংলায়।
মেঘের সংঘাতে মেতে উঠি বিদ্যুৎ সম্মেলনে
মেঘ বৃষ্টির জলাধারে।
বিরতিহীন বৃষ্টিপাতে এই বাংলায়।
সুখগুলো উধাও হয়ে - ভরেছে জলাধার নিরবে
কে কার খবর রাখে,
মেতেছে জলাধারে আপন সখ্যতায়
কেবা আপন কেবা পর এই ঋতুতে
অবাক কাণ্ড! এই বাংলায় গ্রীষ্ম বর্ষা শীতে।
আঁধারের মাঝে পূর্ণিমার আলো দেখে
হতাশার মাঝে আশা খোঁজে শূন্য হাতে
এই বাংলায় নিপীড়িত অভাবী মানুষেরা।
আবার ঘর বাঁধে আপন সখ্যতায়।
নিরবে গ্রাম ছেড়ে শহরে,
কিংবা দেশ ছেড়ে পরবাসে জীবিকার সন্ধানে।
কারো আবার এই বাংলায় ঘুরে ঘুরে
অচেনার মাঝে দিনরাত কেটে যায় আঁধারে!
নব্য পুঁজিবাদের আড়ালে
সিণ্ডিকেটে বাজার চলে
ধোয়াশার মাঝে অন্ধগলিপথে।
তবু, আপন সখ্যতায় এই বাংলায় বসতি গড়ি
অন্ধ কুসংস্কার, গুজব, মিথ্যবুলি এই বাংলায় ছড়াছড়ি।
কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের সাথে
রোদ-বৃষ্টি-শীতে থাকি তারই সাথে।
আপনাকে ভুলে আপনাকে নিয়ে থাকি এই বাংলায়
কলে-মাঠে-ঘাটে দিনরাত কাটে আপন সখ্যতায়।
লেখাপড়া শিখে ছেলে চলে যায় শহরে,
সবকিছু ছেড়ে বসতি গড়ে।
দুঃখ-কষ্ট-রোগে শ্যমল গ্রাম দুখিই থাকে।
ওরা চলে যায় আভিজাত্যের মোহে
অবজ্ঞাভরে দূরে ঠেলে দেয় গ্রাম্য বলে।
তারপর চলে যায় দিন, হঠাৎ লাশ হয়ে আসে গ্রামে
অবুঝ কৃষক মায়াবী আদরে কোলে নেয়,
আদর মাখা চুমু দেয়।
আপন সখ্যতায় , এই বাংলায়।
নির্ঘুমে পাশে থাকে নিদ্রা ভঙ্গের আশায়,
সবুজ বিছানায়।
জীবন চক্রের ইতিহাস হেঁটে চলে যায দূরে,
আপন সখ্যতায় চুমুদেয় এই বাংলায় ।
(১৯ জুন ২০১০)