ভালোলাগে সত্তিকারের ভালো মানুষের দেখা পেলে
আরো ভালোলাগে যখন শুনি
কাজই তার একমাত্র আশ্রয়।
এই সমাজে বিচিত্রসব মানুষের বসবাস
চেহারায় তার বহুরূপী রূপ
সময়ে অসময়ে খোলস পাল্টায়।
চারিদিকে কেবল লোভ, লোভ আর স্বার্থপরতা,
প্রতিহিংসার ছড়াছড়ি।
আবার এর মাঝে ভালোলাগে যখন----
সত্তিকারের ভালো মানুষের দেখা পাই!
তাঁরা দেশ জাতি সমাজের কাজে
নীীরবে নিভৃতে আপন করে নেয়
প্রকৃতির প্রেমে কিংবা মানব কল্যাণে।
এমনই একজন কবির সুমন
তাঁর পুথিগত বিদ্য তত নয়
কিংবা শিক্ষা দীক্ষায় ততটা অগ্রসর নয়।
কিন্তু মানব কল্যাণে আমাদের পথ প্রদর্শক।
নষ্ট প্রকৃতির ভারসাম্য ঠেকাতে
একবেলা অন্যের জমিতে কাজ করে
বাকিটা সময় পথের দু’ধারে
গাছ লাগায় পরিচর্যা করে।
এখানেই শেষ নয় !
প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায়
ফলজ আর ঔষধি বৃক্ষ বিনামূল্যে লাগায়।
প্রথমে ডাকতো সবাই তাকে পাগল বলে
ভ্রুক্ষেপ ছিল না কোন,
এখন সবাই বলে ভালো ছেলে।
বৃক্ষপ্রেমিক বলে এক নামে সবাই চেনে
প্রকৃতির ছেলে বলে জনে জনে।
লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রকৃতির সেবা
ভেদাভেদ ছিল না কোন বড় ছোট কেবা।
কত শত ভালো মানুষ আছে বিজনে
প্রকৃতির আনাচে কানাচে কোথায় কে জানে!
ভালো লাগে ভালো মানুষের সন্ধান পেলে,
ভালো লাগে ছায়াতরু বাংলার প্রকৃতির কোলে।
আমরা সবাই বৃক্ষপ্রেমি হই, গাছ লাগাই;
বিপন্ন পরিবেশ বাঁচাই
আলোকিত মানুষের কাছে যাই।
ভালো মানুষ, আলোকিত মানুষ প্রকৃতির বন্ধু
দেশ জাতি সমাজের এরাই প্রকৃত বন্ধু।
(০৯ জুলাই ২০১০)