মহানায়কের উপলব্ধি,
সে তো হৃদয়ের গভীর অনুধাবন;
বাঙালির উপর চালিয়েছিল
নিপীড়ন, নির্যাতন, শাসন, শোষণ।
মহানায়ক বললেন, “ আমার বাংলা,
বাঙালি এসব থেকে মুক্তি চায়”।
জীবনে জেল খেটেছি বারোটি বছরের বেশি সময়,
১৮ বার কারারুদ্ধ আর
দাঁড়িয়েছি ২৪ মামলার কাটগড়ায়।
মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি দুইবার
স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষ করিনি।
সমস্যায় জর্জরিত তবুও বিশ্বাস হারাই নি,
লোভ লালসা দমাতে পারিনি।
বিশ্বাস ছিল আমার বাঙালির উপর
লক্ষ্য আর চেষ্টা ছিল শিখা অনির্বাণের মতো।
দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি চেয়েছিল ওরা
অপসংস্কৃতিতে বাঙালির মেধা ও মনন নষ্ট করা।
জয় বাংলাকে নির্বাসে দিয়ে
অপশক্তি অপরাজনীতির উত্থান ঘটায়।
১৯৭৫ পরবর্তিতে মিথ্যাকে
সত্যবলে মগজ ধোলাই করে,
বিভ্রান্তি আর ভুলে ভরা ইতিহাস পড়ে
কোমলমতি শিশুর মগজে মিথ্যার বীজ বপন করে।
দীর্ঘদিন ধরে চারাগাছ বেড়ে হয় বীষবৃক্ষ।
সে বীষবৃক্ষের মূল প্রবেশ করেছে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে,
সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবিরা টাকার নেশায় দ্বিধাবিভক্ত
শুধুমাত্র ছবক আর টকশোতে চাপাবাজি গলবাজিতে লিপ্ত।
মাফিয়া ডনদের বেপরোয়া অস্ত্রবাজিতে
আসক্ত হয় ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ
জাগো জনতা, জাগাও বিবেক, বাঁচাও এ সোনালী ভূমি।