মুক্তিকামী মানুষ প্রহর গুনেছিল রুদ্ধশ্বাসে,
দীর্ঘ চব্বিশ বছরের নির্যাতন, জুলুম আর অপশাসনে।
কে দেখাবে পথ! কে হবে জাতির কাণ্ডারি, বন্ধু!
হক-ভাষাণী-সোহরাওয়ার্দী, অবশেষে এলেন বঙ্গবন্ধু।
বাংলার মানুষকে শোনালেন, অধিকার আর মুক্তির কথা;
বিদায় সালাম তোমাদের। আমাদের হৃদয়ে ব্যথা।
তর্জনী উচানো ভাষণে সৃষ্টি হলো সবার মধ্যে সংহতি,
তর্জনীর ঐ দৃপ্ত শপথে জয় বাংলার জয় দেখেছিল জাতি।
সেদিনের কবিতায় নেই কোন অন্তমিল, ভাষা ভয়ঙ্কার;
কিন্তু আছে অন্তঃসালিলা ছন্দ, দরদ মাখানো হুঙ্কার।
শত-সহস্র বছরের বাঙালির প্রত্যাপূরণের কাহিনী,
রয়েছে প্রাণের আবেগ, স্পন্দিত জাগরণের বাণী।
মার্চের ভাষণ মধুমতির মতো মমতাময় সে ঝাঁকনি,
চৈত্রের ছাতিফাঁটা রৌদ্রের জন সমুদ্রে হৃদয় নাড়ানি।
জাগিয়েছিল বাংলাকে, জেগেছিল বাংলাদেশ;
জয় বাংলার স্লোগানে আমাদের সোনার বাংলাদেশ।
(০৭ মার্চ ২০১৭)