বেদনায়পূর্ণ প্রতীক্ষার বেলাভূমি,
অশান্ত গর্জন, দূরন্ত বন্ধু তুমি।
ব্যাথা নাহি বোঝ!
চাঁদনি রাতে কি যেন খোঁজ ?
কীসের সেই বেদনা!
এ বুকে কত সে আপনা,
না জানি তার কথা এই ভবে
সুদুরিকা সেকি তোমার হৃদয়ে না নভে!
কী সুন্দর ফাঁকা এই চরাচর
এ ঘরকে করলে পর।
ফুলে মৌমাছি দেয় চুম্বন, মধুর সন্ধানে
বসে রও তুমি, না জানি কত ব্যথা মনে।
প্রেম জানে
অন্তর জানে।
সুদুরিকা! অভিমানি আজ গোপন নিশীথিনী,
অশান্ত লুকানো বেদনার রহস্য আমি কি জানি ?
অশান্ত বেলাভূমি কেঁদে কেঁদে নিদ্রাতুর
তুমিই করতে পর দূর।
সুগভীর ছায়াশীতল তবু অশান্ত বেদনা বার বার,
সুদুরিকা! ভেঙ্গে এসো দুয়ার।
কিসের এত জ্বালা! কে দিবে প্রতিদান ?
কী এত অভিমান ?
তব পূর্ণিমা রাতে সব কিছু ম্লান ঐ ধরাধারে,
তবু চলে গেলে!
কে যেন বলল, একবুক ব্যথা নিয়ে নিশীথে ভুলে
মালা ছিঁড়ে তব প্রমোদ কাননে গেলে চলে।
উদোম নীলয়
পড়ন্ত বেলায়;
অন্তর কাঁদে, অপমনে বেদনায় লজ্জায়
একাকী নির্বাক ব্যথায়।
ভাবি! যাই চলে সীমাহীন নিরুদ্দেশে!
যদি পাই কোথাও কোন দিশে।
সুদুরিকা! দূরে আছি বেদনার বেলাভূমিতে,
নিশিদিন স্বপ্নে মত্ত থাকিও ভবিষ্যতে।
অন্তরের সব ব্যথা জ্বালা দেয় দোলা,
সুরার পেয়ালায় যায় না ভোলা।
তবু রয়ে যায় ব্যথা
যতক্ষণ আছে মাথা।
সুদুরিকা! ভুলে লুকালে নিজের অন্তরালে,
তুমি চললে! বসুমতি ভরেছে ফুলে ফুলে।
ক্ষতি যা সব আমারই ভুলে
শূন্য বুক অচমকা উ’ঠল দুলে।
কাননে আছে শুধু ক্রন্দন সুর
ব্যবধান সে তো, যোজন যোজন দূর।
অশান্ত হৃদয় ব্যথাতুর
সুদুরিকা! চললে হেরেমে, তোমার কাছে সবই মধুর।