বঙ্গের সেরা বাঙালির প্রাণ, বাঙালির স্লোগান
আকাশে বাতাসে সর্ব্ত্রই ধবণিত বঙ্গবন্ধুর ঘ্রাণ।
দীপ্ত বাঙালির জ্যোতি,
মুক্তির ইতিহাস খ্যাতি!
বিংশশতকের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, উদীয়মান মহাপুরুষ।
নব দিগন্তে উজ্জ্বল নক্ষত্রে, আমাদের প্রণের সুরুজ।

তুমি ক্ষুধিতকে দিয়েছ খাদ্য, নিপীড়িতকে দিয়েছ ঠাঁই,
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলকে ডেকেছ ভাই।
তুমি স্বাধীনতার প্রাণ,
লাল সবুজের স্লোগান!
যতদিন র’বে বাঙালি, বাংলাদেশ, বাংলাভাষা আবহমান,
তুমি চির ভাস্বর হয়ে র’বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তুমি সয়েছো জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন,
ওরা ঘৃণ্য চক্রান্তে মেতে চালিয়েছিল বাংলায় শোষণ।
তুমি সাম্যের জ্যোতি,
স্বাধীন বাংলার দ্যুতি!
’৬৬ এর ছয়দফা ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ’৭১ এর বিজয়,
বাঙালির অস্তিত্বে, বাংলার ইতিহাসে তুমি চিরঅক্ষয়।

১৯৭১ এর সাতমার্চের ভাষণে দিয়েছ মুক্তির ঠিকানা,
জাতিকে দিয়েছ আশা-ভরসা, যুগিয়েছ শক্তি-প্রেরণা।
হানাদার বাহিনীর হানা,
আমাদের সবারই জানা!
সভ্যজাতির ওপর চালিয়েছিল বর্বর অমানবিক অত্যাচার!
জ্বালিয়েছে বাড়ি, পুড়িয়েছে দোকান, ব্রীজ করেছে ভেঙ্গে চুরমার।

হক – ভাষাণী – সোহরাওয়াদী আর জেনারেল ওসমানী,
মুজিবকে যুগিয়েছে শক্তি সাহস, দিয়েছে জয়ের সন্ধানী।
অবশেষে  এলো  জয়
’১৬ ডিসেম্বরে বিজয়!
সম্মিলিত কৃষক শ্রমিক ছাত্র মজুর জনতার প্রচেষ্টায়,
বিজয়ের বেশে এলো বঙ্গবন্ধু। বর্বর বাহিনীর পরাজয়।

লাল সবুজের বিজয়ের পতাকা পেল স্বাধীন একটি দেশ,
বিশ্বমানচিত্রে স্থান পেল লাল সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ।
চলল ভালো ক’টি বছর
শনির কবলে  ’১৫ আগষ্ট!
দিকভ্রষ্ট, নীতিভ্রষ্ট কতকগুলি বিপথগামি সেনা অফিসার,
কালরাতে চালাল ইতিহাসের জঘণ্য নির্মম নিষ্ঠুর অত্যাচার।

যা পারেনি একাত্তরে, তাই ঘটালো ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট।
ওরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির বুক থেকে মুছে দিতে।
করেছিল স্বপরিবারে হত্যা,
জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা!
বিচার বন্ধে ইতিহাস কুখ্যাত ইন্ডেমনিটি বিল করেছিল পাশ,
কুৎসা রটনা করেছিল আর দিয়েছিল অপবাদ কলঙ্ক বিদ্বেষ।

তুমি একটি দলের নেতা নও; তুমি মানবতার; বাঙালির সম্মান।
তুমি দেশপ্রেমিক জনতার নেতা, বাংলার স্থপতি, কাণ্ডরি প্রাণ।
তুমি আছো বাঙালির বুকে,
বাংলার সার্বভৌমত্ব মিশে!
নিন্দিত নয়, নন্দিত আজ। তুমি র’বে বিশ্বে আবহমান,
নেতৃত্ব দিয়ে বাঁচিয়েছ দেশকে শেখ মুজিবুব রহমান।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার অবিসম্বাদিত নেতা,
’বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে ভূষিত, তুমি জুলি ও কুরির শান্তির বহতা।
বাঙালির বাংলাকে দিয়েছ তুমি
বাংলাদেশের স্বাধীন ভূমি!
জাতির প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা, অসীম মমত্ববোধ আর দুরদর্শিতা,
তোমার ধৈর্য -ত্যাগ , দেশপ্রেম, আর কর্তব্যবোধই জাতির স্বাধীনতা।
====================================
                ( রচনা কাল : ২৫-২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮)
                  (কাব্যগ্রন্থ : পালাবদলের খেলাঘর )
====================================