‘শাপলা’ আমাদের জাতীয় ফুল,
দেখ অবাক কাণ্ড! আমাদের কতো ভুল।
শুনে পুরোবিশ্ব স্তম্ভিত হবে,
‘শাপলা’ ফুলকে আমরা
কাউকে উপহার দিই কি?
গোলাপ কিংবা গাঁদা ফুল নিয়েই ব্যস্ত থাকি।
‘শাপলা’ আমাদের জাতীয় ফুল মানি,
উপহার দিতে ক’জনে জানি!
গোলাপ, গাঁদা, গন্ধরাজ, বিদেশী ফুলকে
আমরা বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করি,
আর ‘শাপলা’ বাংলার আনাচে কানাচে
জলাশয়ে অযত্নে অবহেলায় ফুটতে দেখি।
বাংলার গরিব ছেলে-মেয়েরা
শাপলাকে ভালোবেসে মালা গাঁথে,
শাপলা ফুলের প্রেম প্রীতি ঐ বাংলার সাথে।
বাংলার সর্বত্র ফোঁটে তাই আমাদের জাতীয় ফুল,
কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজে, মাল্যদানে শ্রদ্ধা অপ্রতুল।
জাতীয় ফুলের প্রতি অবহেলা অন্তহীন,
ফুল সেতো ফুলই, ফুল তুলনাহীন।
শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে
ফুলের ভীড়ে,
আমরা শ্রদ্ধা-সম্মান করি না শাপলা ফুল দিয়ে।
ফুলের ডালিতে একটি শাপলা ফুল দিলে
বাংলার গৌরব বেড়ে যেতো বহুগুনে।
বাংলার আলো, বাংলার ফুল ভালোবাসে
বাংলার সৌন্ধর্য বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুনে।
বাংলার খাল-নদী-বিল-পুকুর জলাশয়ে হাসে,
বাঙালির হাসি হেসে বারোটি মাস পানিতে ভাসে ।
বাংলার ভালোবাসা বাংলার ফুল,
‘শাপলা’ আমাদের জাতীয় ফুল।
অন্য ফুলের পরিবর্তে
‘শাপলা’ ফুল তুলে দিতে হবে বন্ধুর হাতে।
অন্য ফুল নাও, তার সাথে ‘শাপলা’ ফুল দাও।
‘শাপলা’ ফুলকে আমরা অবজ্ঞা অবহেলা করি,
শাপলার ডাটা নিম্ন আয়ের খাদ্য বলে টিটকারি করি।
আমাদের মানষিকতা কতো নীচ! তা কি ভেবেছি?
আমাদের বক্তৃতা বিবৃতিতে দেশপ্রীতি
স্বদেশপ্রেম উতলে ওঠে।
সাদা, নীল, লাল রঙে বাংলার সৌন্ধর্য চিত্রপটে।
শাপলা ফুল দূরে থাকে বটে,
জাতীয় ফুল শাপলাকে শ্রদ্ধা সম্মান করতে হবে,
ভালোবেসে সবাইকে উপহার দিতে হবে।
‘শাপলা’ ফুল হাতে নাও,
বন্ধুকে উপহার দাও।
(১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২)