স্বর্ণ ছড়াও বসুন্ধরায় সবুজ শ্যামল মাঠে,
বৈশাখেতে তপ্ত খরা হাঁটু জল ঘাটে।
গ্রীষ্মভরা তীব্র গরম আর আম কাঁঠালের গন্ধ,
ফুল ফাগুনের সৌন্ধর্যে আমরা হয়ে যাই মুগ্ধ।
বর্ষাকালে গুল্ম লতায় সজীব আনে, পানি থৈ থৈ,
বন্যাজলে ভাসিয়ে দেয় মা জননীর দুঃখ দেখ ঐ।
খাল নদী বিল মাঠের পরে মাঠ সব খানেতে পানি,
দাওয়ায় বসে গল্প করে দুঃখ দিনের ঋণী।
বর্ষা শেষে নীল আকাশে সাদা মেঘের দল,
শরৎ কালে কাশবনে ঐ শুভ্র কাশের কন্যাদল।
কাশফুলের ঐ নরম ছোঁয়ায় মন রাঙিয়ে দেয় দোলা,
হেমন্তের ঐ সোনালী ধানে ভরিয়ে তোলে গোলা।
নতুন ধানে নতুন গানে গন্ধে ভরা হেমন্তের নবান্ন,
শীত কুয়শা জানিয়ে দেয় বাংলায় পৌষ আসন্ন।
শীত সকালে সবাই মিলে নাড়ার আগুন জ্বালে,
খেজুর রসে মন ভরে যায় শীতের পিঠা পেলে।
শীত কুয়াশা বসুন্ধরায় বার্ধক্যতা আনে,
শীতের রাতে যাত্রাগান ওয়জ মাহফিল বৈচিত্র্য আনে।
ন্যাড়া গাছে সবুজ পাতায় বসন্তের গান গায়,
ফাগুন মাসে আগুন ঝরে ফুল বসন্তের হাওয়ায়।
তপ্ত খরা বসুন্ধরায় সবুজ পাতা ফুলে ফুলে ভাসে,
ঋতু বৈচিত্র্যর মাঝে পালা বদলে বসন্ত ঐ হাসে।
( ১৫ এপ্রিল ২০০৯ )