মায়ের ভাষাকে আপন ভেবে ফাগুনকে করল আগুন
শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে শহীদ মিনারে---------।
বাঙালিকে যারা অবঞ্জা করে ঠেলে দিল আস্তা কুঁড়ে
মাতা মাতৃভাষা মাতৃভূমির ভক্তি দেখে তারা বসে নড়ে চড়ে ।
পূজারি, মাতৃভক্তিতে বাংলদেশ সাবাস
আমাদের মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যদা দিবস।
পূজারি! কি বলব! আমাদের মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির ইতিহাস,
সেই ভাষা সংগ্রাম থেকে দু’জাতির পাশাপাশি বসবাস
তবুও কি হয়েছে আমাদের আত্মীয়তার বন্ধন! কিন্তু না
পেয়েছি চব্বিশ বছরের শোষণ জুলুম অত্যাচার বঞ্চনা।
ভক্তি শ্রদ্ধা পায় তাঁরা, দেশকে ভালোবাসে যাঁরা।
কত মা-বোন ইজ্জত দিল, কত বোন হলো স্বামীহারা।
বাঙালির মুক্তির ভাষণ “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
এবার বলো, বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করবে ! না কি রাজাকারদের ?
ভক্তি শ্রদ্ধা তব মোর ত্রিশ লক্ষ বীর শহীদদের তরে
শান্তির সুবাতাস বয়ে যাক আজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।
ধিক! তব সেই সব কুচক্রী নরপিচাশ রাজাকারদের
আজ ধিক! নব্য রাজাকার দোসরদের।
পূজারি, এ পূজা সে পূজা নয়, শ্রদ্ধায় মাথা নত হওয়া।
জেগে ওঠ বীর জনতা মহামানব! সংগ্রামী স্বাধীনতা।
পূজারি, কোথায় পূজা দিবে একবার ভেবেছিস ? কিছু বল !
মাত মাতৃভাষা মাতৃভূমির সেবা করেছে যাঁরা এতকাল,
তাঁদের হৃদয়ে শান্তির সুবাতাস বয়ে যাক চিরকাল।
জয় হোক পূর্ণবেদীর এ ধরাতল।
বাঙালির দিবাকর শ্মশান চিতায় উঠেছিল ঐ ভাগীরথী কূলে।
পূজারি, বিশ্বাস করো না মীরজাফরদের; নবাবের মতো ভুলে।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করিও তাঁদের, যাঁরা দিয়ে গেছে বিজয়ের পতাকা।
যুগে যুগে পাবে সেই সব বীর মহামনীষিদের দেখা।
হাজী শরিয়াতুল্লাহ, তিতুমীর, বারোভুঁইয়া, বঙ্গবন্ধু শেষে
মহাবীর হয়ে মাতা মাতৃভাষা মাতৃভূমির সাথে আছে মিশে।
জাতির অন্তরে শ্রদ্ধাভরে মিশে আছে বীর শহীদেরা চিরকাল,
জয় হোক এ জাতির পূর্ণ বেদীর ধরাতল।