পূজারি, কোথায় পূজা দিয়ে গেলি বল!
আপন ভেবে এতকাল;
সত্য বলে জেল খাটলি,
হ’লি আইনের চোখে দাগী আসামী
জনগণ তোঁকে মাথায় তুলল। তুমিই দামি
বিদ্রোহী করে মায়ের বেদীতে দিলি অঞ্জলি।
পূজারি, এ পূজা বৃথা নয়। এ যে মাতৃভক্তি।
পদ্মা মেঘনা যমুন কপোতাক্ষ ভৈরবের কত জল
পলি দিয়ে উর্বর করেছে সে কথা আজ বল।
পূজারি, আপন ভেবে চাটিসনে ওদের চোয়াল।
ওরা বড় শয়তান পাপী, অত্যাচারই ওদের বল।
শান্তি বোঝে না। কামান গোলায় ভরেছে ওদের শীশ মহল।
এবার বল! পূজারি, খেটে গেলি চিরকাল
যুগযুগান্তরে কিংবা কালে কালে ওরাই দালাল।
পূজা করেছে ভারত মাতার সেই কবে ক্ষুধিরাম,
আজও বীরের বেশে বেঁচে আছে ; স্মরণ করে তাঁর নাম।
পূজারি; পূজা দাও তব দেশমাতাকে আপন শ্রদ্ধাভরে,
দেখবে সেথায় মহাবীর হয়ে বেঁচে র’বে জনতার অন্তরে।
পূজারি, মিথ্যা বলিনি একটুও
“মাতা -মাতৃভূমি -মাতৃভাষা” এই ভক্তি যাদের
তাঁদের ইতিহাস দেখিও
জননীকে দেব সম ভেবে পূজা করেছে যাঁরা
স্রষ্টার পরে মা-জননীকে স্থান দিয়েছে তাঁরা।
মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত
বায়েজিদ বস্তামি মায়ের সেবায় ছিল ব্যস্ত।
পুজারি, পূজা করো দেশমাতাকে আপন ভেবে,
ভাষার পূজারি রফিক শফিক বরকত জব্বর ওরা স’বে।