আসবে তুমি আমার নীড়ে!
নিখিল রূপের মানব ভীড়ে,
তপ্ত খরার মরুর বুকে
বাঁধবে ঘর আপন মনে আমার দুঃখে।
জাগবে প্রিয়া তন্দ্রহারা সেই রাতে।
বুকের ব্যথায় কাঁদবে তুমি সখার সাথে।
মানস মনে
হৃদয় কোনে,
থাকবে না কোন অশ্রুমতি
তবেই তুমি ধরার বুকে স্বর্গ পাবে
এই তো রীতি।
স্বর্গ তোমার চারিধারে মুছেফেল অহংকার!
দুঃখদিনে যত্ন নিবে, এটাই যেন প্রিয়ার ঘর।
কেবা আপন কেবা পর,
সবাই কিন্তু মানব বর।
দেবি তুমি; উধের্ব কে তোমার, তুমিই জান!
বালুর বুকে, শূন্য ঘরে, স্বর্গ আনো।
অভিমান! তবুও তুমি যেই দেখেছো আমার দেখা,
অমনি মুছে আঁখি জল,
বললে, এই যে আমি এই যে সখা।
পূর্ণিমাতে উঠলে চাঁদ
মাটির প্রদীপ নিভিয়ে রাখো;
ভয় পেয়োনা। আমার পাশে একটু থকো।
বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে
থাকতে যখন আমার ঘরে
আমার হৃদয় উঠত ভরে
সোনার আলো পড়ত তখন ধরার পরে।
বললে তুমি, ঐ যে দেখ ডুবছে বেলা,
প্রিয়, দেখ! কে ছিড়েছে গলার মালা।
তপ্ত খরার মরুর বুকে
শীতল বায়ুর শিশির রাতে
রাখো তুমি জড়িয়ে বুকে
আপন সুখে।
অঞ্জলি পুরে পাপড়ি বিলাও;
আর জড়িয়ে ধরে করো তুমি নমস্কার,
বললে তুমি, তোমায় পেয়ে ধন্য আমি,
আর যে কিছু চাই না আর।