জগত সংসারে পিচ্ছিল কর্দমাক্ত পথে,
কিংবা, চৈত্র-বৈশাখের খরতাপে তপ্ত বালু পথে;
হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত !
আমার ধারণা নাকি সব ভ্রান্ত।
আমি যে নিম্ন পদস্থকর্মচারি!
ক্ষমতাহীন অন্ধের মতো করি কেরাণিগিরি।
রূঢ় দুঃখের অসীম রোদ্রে
অসীম দরিয়ার আলেয়ার সমুদ্রে
অযথা বকুনি শুনি অন্যের ভুলে!
সার্টিফিকেট যতই থাকুক পদবি ছোট বলে।
কেননা, আমি যে নিম্ন পদস্থ কর্মচারি!
নিজ সংসারের দুঃখ কষ্ট ভুলে কর্তাকে খুশিকরি।
বছরের পর বছর চলি অবুঝের মতো
নিত্য পথ ভুলি ক্লান্তি যতো।
নির্বিকার মুখে শুধু হা হা বলি,
প্রতিদিন একই গণ্ডির মোসাহেবি চলি।
কথায় কথায় জাগরণের জয়গান শেখানো,
সে তো লোক দেখানো। ভৃত্য দমানো!
হুকুমের গোলাম, শুধু কর্তাকে খুশি করি,
রূঢ় কথা শুনি। আমি যে নিম্ন পদস্ত কর্মচারি।
আদর্শের মূল্য নেই ,
আমি যে আদেশ পালনের কর্মচারি,
বলে, সৃজনশীল কাজের কি বোঝ ?
তুমি তো নিম্ন পদস্থ কর্মচারি।
দিন রাত খেটে প্রতিবেদন তৈরি করি
আ-কার, ও-কার, ইজ, দ্যাট
বসিয়ে ছুঁড়ে দেয়, আমি ঠিক করি !
আমি যে নিম্ন পদস্থ কর্মচারি!
ওরা মানে না, রাষ্ট্রের সবাই কর্মচারি;
ওরা যে কর্মকর্তা, বাকিরা নিম্ন পদস্ত কর্মচারি।
(১৭ মার্চ ২০১১)