তাপহীন নীলাকাশে চাতক পাখির মতো
ভয়ঙ্কর ভালোবাসায় মেতেছি
নীরব অহংকারে!
অবিশ্বাস আর দ্বন্দ্বের মাঝে বসবাস
কুজনের গন্ধ-বর্ণময় জীবন যুদ্ধে,
কলঙ্কিত যন্ত্রণার নীল নয়নে।
মর্ত্যলোকের অমরত্ম লাভে
অলৌকিক গোলক ধাঁধাঁর যাতাকলে
চেয়ে আছি চাতক পাখির মতো নীল নয়নে!
উজান ভাটির টানে কেঁপে উঠি দরিয়ার ঝড়ে
স্বপ্নের বন-পাপিয়ার রাখালি সুরে
ফিরে আসি নীল নয়নে ঘুরে ঘুরে।
আলো নিভে ধূসর আঁধার নীল নয়ন;
জয়শ্রীর বিবর্ণ রূপ আজ জীর্ণশ্রী।
স্তব্ধতার কালো মেঘ তিমির রাত্রে
পোড়ে খাঁ খাঁ দীর্ঘ বিষাদে।
উৎসব প্রিয় চোখ রাত্রির অদৃশ্য কুয়াশায়
ঢাকে তবু বিপন্ন খরতাপ!
মধ্য দুপুরে তপ্ত ফাগুনে আগুন লেগেছে নীল নয়নে
স্বপ্নময় আলোক বৃক্ষে।
নিঃস্বর্গের ভালোবাসা আঁকি নীল দর্শণে।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি নীরবতার বন্ধনে।
বসন্ত বিকেলে ঘুমের অভিনয়ে অভিমান,
লাল ক্রুদ্ধ কৃষ্ণচূড়ার পলকহীন নীল দৃষ্টি অবিরাম।
সদ্যপ্রীতির লীলাখেলায় দীর্ঘশ্বাস
পুরাতন ক্ষতে নতুন বিষের অবিশ্বাস,
ধূসর-ম্লান-বিষণ্ন মুখছবি উথলে ওঠে
ভালোবাসার নীল নয়নে।
রোজনামচার দুঃখ জ্বালা ভুলে থাকি
অপনক নীল নয়নে চেয়ে থাকি।
পরমপ্রীতির স্বর্গসুখ ধূমায়িত
অম্লমধুর ভালোবাসার নীল যৌবনে,
শীতলতা ছেড়ে মুখরিত শিমূল ফাগুনে
মহাধুম ধামে হাত মেলাই কুঞ্জবনে দু’জনে।
নীরব অহংকারে চেয়ে থাকি অজানা অপরাধে নীল নয়নে।