আমার দু’চোখ ভরা, দুঃস্বপ্নে ঘেরা ভয়!
বুকের উপর জগদ্দল পাথরের চাপ সর্বদাই।
নির্বাসিত জীবনে চলে আজব খেল,
চারিদিকে কেবল শোকার্ত মিছিল!
প্রেমহীন অন্তর ঘন বসতির আজব গলি,
লোভের নিগূঢ় আলিঙ্গনে জেগে উঠে বলি
মুক্তি চাই! আমার মুক্তি দাও!! দাও ছুটি!!!
সভ্যতার আধুনিকায়নে মুঠোফোন হাতে হাঁটি।
আর মোবাইল ল্যাপটপ নেটে অসভ্য খোঁজ করি,
সভ্যতার খোলসে অসভ্যতাকে লালন করি।
পিচ্ছিল সমাজ পথ আর বন্ধ্যা ফসলের মাঠ,
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা পৃথিবী ময়। আজব এর পট!
হায়! চমকে উঠি লোভ আর দুর্নীতির আলিঙ্গনে,
দুঃস্বপ্নের মাঝে নিশিরাতে ঠক্ ঠক্ কাঁপি গোপনে।
শোকার্ত মিছিলের ধ্বনি মুক্তি চাই! মুক্তি চাই!!
অনন্ত ক্রন্দন, চাপা ক্ষোভ বুকের গহীনে ঝরে।
কঠিন আঁধার যুগপেরিয়ে কাল থেকে কালান্তরে।
নিঃসর্গের ছায়াতলে ছুঁয়ে যায় প্রেমহীন আলো,
পুষ্পশূন্য বিষবৃক্ষের ছায়াতলে সবই ভালো।
দু’চোখ ভরা, দুঃস্বপ্নে ঘেরা বুকের জমিনে,
অসভ্য কালচারে নির্বিকার মানব হৃদয় গহীনে।
দুঃস্বপ্নের স্মৃতি জলে আর নিদ্রা ভঙ্গের জাগরণে!
দু’চোখ ভরে যায় অপরূপ মায়াবী রূপের বন্ধনে।
পাষাণপুরির প্রেমহীন হৃদস্পন্দনে বলে উঠি
রূপ যৌবন আবেগের জীবন প্রেমের জুটি।
তিক্ত মনের বিরস বদনে প্রতি পদে পদে
শুক্ল কিংবা কৃষ্ণ তীথিতে আটকে পড়ি ফাঁদে।
মন-নদীর ¯্রােত থামিয়ে দেয় স্মৃতির ভীতিতে,
পুঁজিবাদি কিংবা মুক্ত অর্থনীতির অভিশ্রান্ত গতিতে।
কখনো উল্কা গতিতে মৃদ্রু কম্পনে তারাখসা ছোটে,
দুঃস্বপ্ন থেকে হঠাৎ জেগে উঠি, নির্ঘুমে রাত কাটে।
ধানক্ষেত সোনালী ফসল কেঁদে ওঠে অত্যাচারে,
ফরমালিন আর কীটনাশক ভরা তরকারী ঘরে।
মিলন মেলায় দুঃস্বপ্নে ঘেরা আমাদের চারপাশ,
দুঃস্বপ্নের স্মৃতির মঝে আমার বসবাস।
শ্যামল মাঠের সোনালী ফসল দুঃস্বপ্নে ঘেরা,
বিষক্ত সাপের ছোবলে হৃৎপিণ্ড বিষে ভরা,
দুঃস্বপ্নে বসবাস আর বিষ খেয়ে বলি,
পুরোটা তাজাছিল।
( ০৯ অক্টোবর ২০১১)