পৌষের সফেদ কুয়াশার মাঝে মায়াবি সিঁড়ি দিয়ে,
সেবাদাসী যুবতীদল এসেছে হিমেল বাতাস নিয়ে।
সুদূর হিমালয় হতে
পারেনি সেবাদাস দিতে,
ভেসে গেছে সর্বনাশী কনকনে ঠাণ্ডায়;
শীতবুড়ি সাদা শাড়িতে ঘুরে বেড়ায়।
সারাক্ষণ আদর সোহাগে
ফিরে ফিরে গায়ে লাগে
ভিতরে বাহিরে অন্তরে চক্রাবলে জড়তায়
মধুময় ধরণী পৌষ দু’হাতে রবিশস্য ছড়ায়।
শুভ্র মেঘের মায়াবি ডানায়
রূপ পূর্ণতা তার কুয়াশায়,
সেবাদাসী যুবতীদল জড়তায় সেথায় তারা অসহায়,
খেজুর রসে কুয়াশার জলে ভাসে প্রভাত বেলায়।
সেবাদাসী যুবতিদল
মায়াবি সিঁড়ির বাহুবল।
সে তো ছুঁয়ে যায় পৌষ সকালে মাঘের নিশীথে,
মায়াবি সিঁড়ির কাছে জ্যোৎস্নায় হারায় শীতে।
তারই পরিত্রাণে
উপায় খোঁজে সর্বক্ষণে
সেবাদাসী যুবতীদল অন্তর সায়াহ্নে,
কেঁদে ফেরে জ্যোৎস্নায় তারই জন্যে।
( ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯)