সাত সকালে কৃষক চাষী মাঠের পানে চলে,
লাঙ্গল কাঁধে, গরুর পিছে ডানে-বায়ে বলে।
আবছা আঁধার নরম হাওয়া
আঁধার আলোর পিছু ধাওয়া!
ঊষার আলোয় কৃষক চাষী বাঁকা সরু পথে,
নতুন আশায় এগিয়ে চলে নতুন ভাবনার সাথে।
শত সমস্যায় কৃষকের মাথা থাকে না ঠিক,
ভয়ে-ভীতে ঋণে কাঁপে, তবু চলে সে সঠিক।
জমি লাঙ্গল গরু
অভাবে জীবন দুরুদুরু!
নতুন দিনের, নতুন আলোর, নতুন আশার ক্ষণে,
শুভক্ষণে এসে ভীড় করে মহাজনের সুদ আর ক্ষণে।
রোজ সকালে চালায় পুরাতন দিনের মতো হাল,
জ্বরে,ঋণে জীর্ণ কুটিরে কাঁটে তাঁর জীবন কাল।
রোদ বৃষ্টি আর ঝড়ে
কুটিরের খুঁটি নড়ে নড়ে!
একখানি ছোট্ট কুটিরের নিচে পুত্র কন্যা স্ত্রী নিয়ে,
মাটির মমতার টানে, ওষুধের অভাবে মরে নির্ভয়ে।
জীবনভর হালচাষ আর জীর্ণ-শীর্ণ কুটিরে বসবাস,
গ্রীষ্ম বর্ষা শীতে জনম দুঃখী কৃষক ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস।
চাল দিয়ে পানি পড়ে
কৃষকের কাঁন্না ঝরে!
জসীমউদ্দীনের ‘আসমানি’ কবিতাই কৃষকের ঘ্রাণ,
জীবন সংগ্রামের কাঁন্না, অশ্রুতে বাঁচার আহবান।
পারে না ছেলে মেয়েদের স্কুলে পড়াতে, চাষী ভাই
এক বেলা খেয়ে কখনো বা না খেয়ে জীবন কাটায়।
কাগজ কলম বই
বুকে হতাশার সই!
কৃষকের জীবন সংগ্রাম যেন ‘নুন আনতে পান্থা ফুরায়’
মহাজন ওদের কথা শুনলেই বলে, ধুত্তরি! বাদ দে ছাই।