শীতের কুয়াশা ঠাণ্ডা আর গ্রীষ্মের তপ্ত হাওয়া,
ক্ষুধা আর অসুখ কৃষকের জীবন করে ধাওয়া।
শীতে পারে না দিতে বস্ত্র
পড়ে থাকে শীতে একত্র!
খুব ভোরে কৃষকের ছেলে মেয়েরা মাঠে যায়,
আগুন পোহাতে আর সোনা রোদের আশায়।
অলংকার পারে না দিতে, বারো মাস থাকে অসুখ!
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গরিবের নয়, বলে চেম্বারে আসুক।
ওরা গরিব ওরা তো চাষা
ফলের মাঠে নিরাশার আশা!
যখন ফলে না ফসল বন্যা ঝড়ে কিংবা খরায়,
তখন কৃষকের পাশে, আশা ভরসার কেউ নাই।
যে কৃষক দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি, সভ্যতার মূলে,
সে কৃষককে আমরা ভুলতে বসেছি আমাদের ভুলে।
শুধু মুখে মুখে বলি সেরা
কৃষকই জাতির প্রাণ ভোমরা!
বাংলার কৃষক আজ অনাদৃত অবহেলিত উপেক্ষিত,
দুর্নীতি বাটপারদের জন্য সুবিধা থেকে কৃষক বঞ্চিত।
যে বছর ফলে না কোন ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগে,
মৃত্যুর চেয়েও কষ্টে জীবন কাটে কৃষকের দূর্ভোগে।
মাটির মমতা বেশ
কাজের নাহি লেশ!
সন্তান পরিজনের বাঁচার আশায় ছুটে চলে ঋণের কাছে,
অবশেষে চড়া সুদের সে ঋণ তাড়া করে কৃষকের পিছে।
আদিম পদ্ধতি বাদ দিয়ে, আধুনিক পদ্ধতিতে করলে চাষ,
উন্নত বীজ সারে ফলবে ফসল, আনন্দে কাটবে বারোমাস।
কৃষককে দিতে হবে প্রশিক্ষণ
সরকারের নজর সর্বক্ষণ
তবেই বাংলার কৃষকের বিশুষ্ক ঠোঁটে ফুঁটবে তৃপ্তির হাসি,
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। কৃষকের আনন্দ সবার হাসি।