কথায় আর কাজে মিল না হলে
সবই যায় রসাতলে।
সব কথার এক কথা
কাজের সততা;
নীতিহীন জ্ঞান
নৈতিকতার অবক্ষয়।
যা আজ আমাদের ধবংস করে দিচ্ছে,
কথার ফুলঝুরি আছে
কাজের সততা নেই।
কথার মার প্যাচে দুর্নীতি করে
আমরা সবাই সাধু সাজি।
সরকারি অফিস সময়ে
ব্যাক্তিগত কাজ করি,
অফিসের টেবিলে বসে বলি,
“দেশটা দেখ কোথায় গেছে”?
ফাইল পত্রের কাজ না সেরে
চায়ের টেবিলে বসি।
একটু কেশে আবার হাসি,
আর সরকারের অপপ্রচার করি।
আমাদের স্বভাব চরিত্র আজ
নেব খাব দেব না।
যা পাই তাই খায়,
কথায় আর কাজে কোথাও মিল নাই।
যে ছেলে, না পড়ে, রাজনীতি করে
অবশেষে স্বজনপ্রীতি আর রাজনীতির হাত ধরে
কোন অফিসের কর্মকর্ত হয়
তবে সে দেশকে কতটুকু দেবে।
জ্ঞান না থাকলে, অভিজ্ঞতায় কি হবে ?
আমাদের দেশপ্রেম কতটুকু দেখ ভাই
গরীর দুঃখির টাকা নিয়ে
সুইচ ব্যাঙ্কে জমাই।
আবাব বড় বড় কথা বলে
দেশপ্রেম দেখাই
আমরা অবুজ জনগণ ভুলবুঝে
মাঠে ময়দানে সালাম ঠুকে
সম্মান জানাই।
কথায় আর কাজে কোথাও কি মিল আছে!
বড় বড় বুলি
মেকির পিছনে ঘুরে সত্যকে দূরে ঠেলি।
বিজ্ঞাপন দেখে মনে হয় সৎ
যেন মানবতার সেবাই এদের একমাত্রপথ।
আইনের মারপ্যাচে বেরিয়ে যায়
জেল খাটে নিরীহ জনগণ।
লালফিতার দৌরাত্ত আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা!
ওদের নেই কাজের সততা।
টাকা দাও কাজ হবে!
এই যদি হয় সরকারি অফিস
তবে আমরা কোথায় যাচ্ছি!
মাঠে ময়দানে নেত-নেত্রীর মুখে শুনি,
“ দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে”।
পরদিন পত্রিকায় দেখি--
“সারের দাবিতে মিছিল, কৃষকের মৃত্যু;
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ।”
দেখ! দেশ প্রেমিক জনগণ
খেলতে দিওনা তোমাদের ভুলো মন
কথায় আর কাজের সততা চাও
প্রতিবাদি হও।
এদেশ তোমার আমার সকলের।
কোথাও চাকরি পেতে যদি
লাখ লাখ টাকা খরচ হয়,
বাপের জমি-গরু-ছাগল বিক্রি করতে হয়!
তবে সে দেশের সেবায় কি দিবে?
টাকাই তার একমাত্র লক্ষ্য হবে।
বলো চুপ করে থেকো না--
বুদ্ধিজীবি, রাজনীতি, সমাজসেবক ভাই
আমরা কোথায় যাচ্ছি তার খোঁজ নাই!
দেশের তরে খেটে মরে আমার
অবুজ কৃষক শ্রোমিক ভাই,
তাদের মধ্যে সততার তুলনা নাই।
যদি আমরা কথা কম কাজ করি সবাই,
তবেই, দেশ তথা নিজের মঙ্গল হবে
এতে সন্দেহ নাই।