নিশীথে জোছনার ফুল ঝরে
অঘোর ঘুমের মাঝে জোনাকিরা ভীড় করে-
         প্রিয়ার খোঁজে
ভালোবাসার চাঁদ যেন এই বুঝি এলো বুজে।
মনে হয়, দেখেছি কোথায় বারে বারে!
     ভালোবাসার ফুল ঝরে আর ঝরে।
নীল-নীলাচলে হেমন্তের সোনালী ধানে,
কামনার লোভে প্রাসাদ- অলিন্দে  অলস বদনে।
        ঘুমের পুরিতে তেপান্তরের পথে,
মরু-সংকটে মন ভোলানো দুলালির আনন্দ রথে।
সুরা হাতে খিলিপান যৌবনের মধুতে-
জোছনা ফুল ঝরে ঘুমে,  রাজবধুতে।
প্রেতপুরিতে পিপাসার ক্ষোভে নিশীথে বিষে
পিঙ্গল আঁখি জ্বলে ওঠে উল্লাসে!
                     তারপর পড়ে মনে --
মধুর ভালোবাসা চাঁদনী রাতের নির্জনে!
নিঝুম ঝিঁ ঝি পোকার ডাকে উথলি ওঠে বুক,
জোছনার ফুল ঝরে, রাতের আঁধারে ঢেলে দেয় সুখ।
   কিশোরী লুকায়।
             জোছনা ছড়ায়,
                   জোনাকির মাঝে কৃষ্ণতীথিতে,
সুরা হাতে প্রিয়া দাঁড়ায় রূপালি তিমির নীশিতে।
চাঁদের বেসাতি রাতের নির্জনে!
রাজবন্দীনির ঠোঁটে এঁকে দিল স্মৃতির চুম্বনে।
             চুপে চুপে পড়েছিল বুকে!
কপোতবধুর জোছনা ফুল ঝরা বুকে।
ফুল ফুটেছিল সোনাঝরা রাতে জোনাকির ভীড়ে,
    প্রিয়ার খোঁজে তার নীড়ে।
           আহ! এতো মধুরাতি,
ফুল বাগানে চাঁদের বেসাতি!
ঘর সজিয়েছে কদম-কেয়া- কদম দিয়ে
তারই মাঝে জোছনার ফুল ঝরে,
       এলো চুল বধুর বুকের পরে।
জোনাকির সাথে ভেসে ভেসে শেষ রাতে,
অপরাজিতা ফুলের পাশে বাঁশি হাতে।
জোছনার মাঝে অজানা রাতে
কি যেন পেয়েছিল খুঁজে,
             নিশীথে চাঁদনী রাতে
দাঁড়িয়ে আজও খোঁজে চোখ বুজে।
সোনালী জোছনার আলোতে বধু,
লাজ-শরমে মরে, তবু মননে মধু।
জোছনাফুল ঝরে নবমীর চাঁদে, আহ! শিহরণ,
   একাদশীর উষ্ণ অনুরাগে জাগে জীবন মন।




( ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯)