জাতীয় ঐক্য; সে তো জনতার ঐক্য,
নেই ভেদাভেদ, জাতির স্বার্থে জাতীয় ঐক্য।
বাংলার ইতিহাসে বাঙালির ঐক্য, বাংলার জনতা।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের দৃঢ় ঐক্যই স্বাধীনতা।
মতভেদ ছিল নীতিতে কিন্তু দেশ জাতির স্বার্থে,
মহাজনতার ঐক্য দৃঢ় বন্ধন, রাজাকার বাদে।
মুক্তিযুদ্ধে ছিল জনতার ঐক্য। মহান নেতার নেতৃত্বে,
ফাটল ধরেনি সেদিন ঐক্যে, বীর জনতার ভ্রাতৃত্বে।
নেতাকে, দেশ জনতার কাছে বিশ্বাসী হতে হবে,
স্বপ্ন দেখাতে হবে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে ।
দাঁড়াতে হবে দুঃখী মানুষের পাশে, গড়তে হবে সখ্য,
তবেই তোমার আদেশে জনতা গড়বে ঐক্য, জাতীয় ঐক্য।
বাংলার মাটি আদিকাল থেকে ষড়যন্ত্রের ঘাঁটি,
বারবার মিথ্য অপবাদে জাতীয় ঐক্যে ধরেছে টুটি।
তিতুমীর, বারো ভঁইয়া, রফিক-শফিক অবশেষে বঙ্গবন্ধু
জাতির স্বার্থে আপোষহীন, ওঁরাই দেশ জনতার বন্ধু।
জতীয় ঐক্য ধবংস করতে ছড়িয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ,
মিথ্যা অপবাদে ভুল পথে নিয়ে জাতিকে করেছে শেষ।
ওরা স্বার্থক হয়েছে ওদের চক্রান্তে! তোমাদের ভুলে,
সে ভুলের মাসুল দিচ্ছি, আজও আমরা সবাই মিলে।
জাতীয় ঐক্য গড়তে, যদি নেতা-নেত্রী যায় ভুলে,
অচিরেই ষড়যন্ত্রকারীদের কবলে পড়ে যাবে রসাতলে।
জাতিকে দেখাতে হবে উন্নত ভবিষ্যতের রূপরেখা,
তবেই আর্থ-সামাজিক,রাজনৈতিক,সাংস্কৃতির মুক্তির দেখা।
জাতির ক্রান্তিলগে জাতিকে চিন্তা চেতনা কর্ম উদ্দীপনায়,
জাতিকে বাঁধতে হবে ঐক্যের সুরে। জাতীয় চেতনায়।
যেমন হয়েছিল একাত্তরে, স্বাধীনতার যুদ্ধে, মুক্তির রনাঙ্গনে।
এক গানে, এক সুরে, দেশ জনতা হয়েছিল এক কাতারে।
সাত মার্চের ভাষণে জাতি এক হয়েছিল সব মতভেদ ভুলে,
মুক্তির সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল চেতনার মর্মমূলে।
ভবিষ্যৎ মুক্তির লক্ষ্যে নেতাকে হতে হবে নির্ভিক,
হোক সে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, কিংবা সাংস্কৃতিক।
গণমানুষের নিয়ে জাতীয় ঐক্যে গড়ো মুক্তবুদ্ধির আন্দোলন,
আত্মঅহংকার আর বিভেদ ভুলে, গড়ো সহমর্মিতার প্রচলন।
সেখানে পাবে দেশ জাতির অনির্বাণ প্রেরণার উৎস,
অবিনাশী চেতনা দাঁড়ালে পাবে ঐক্যের নিরন্তর প্রবাহ।
ষড়যন্ত্র ভুলে, ঐক্যের পতাকা তলে যাও, জাতির স্বার্থে;
মুক্তচিন্তা আর মুক্তবুদ্ধির চর্চা করো, মানবতার আদর্শে।
জাতীয় ঐক্যে এক হও ব্যক্তি আর সমষ্টির মিলিন স্রোতে,
স্বাধীন পতাকা তুলে ধরো সবাই মিলে দেশ জাতির উর্ধ্বে।
জাতির মুক্তিসত্ত্বা, মুক্ত চেতনায় এক হও মতভেদ ভুলে,
সমবেত হও দলে দলে জাতির ঐক্যে জাতীয় পতাকা তলে।
( ২২ মার্চ ২০০৯ )