আমার বধু ফুলপরি, সে লাজুক দৃষ্টি দিয়া,
যাদুমাখা মুখ, কথাগুলি তার গোপন হিয়া।
যতবার সে লুকাতে চায় ততবার হয় জানাজানি,
সে যে প্রণাম করে চরণ ছুঁয়ে, তা আমি জানি!
ভীরু ভীরু চোখে, দুরু দুরু বুকে আসে গোপনে;
যাদুর কাঠিতে পরশ বুলায় সারাক্ষণ আনমনে।
যতবর দেখি ততবার লজ্জায় নত হয়,
আমর বধুর না জানি কি ভয়! লোকে কি কয়?
আঁখি মুছে মুছে নিশিথে দেয় চুমু ঠোঁটে,
মমতাময়ী নারী, হৃদয় তার আমারই জন্য ছোটে।
পুতুল বেলায় মালা গেঁথেছিল কার জন্য নাহি জানি,
আজ এসেছে ঘরে , লয়েছি তব লাজেটানি।
অভিমানী শুধু, মুখে বলবেনা কোন তাও জানি,
লাজে মরে প্রিয়া ! মুখ ঢাকো শাড়ির আঁচল টানি।
আমার বধু, নিশীথে জেগেছে প্রথম প্রণয় বেলায়,
আঁখিতে বলেছে ভালোবাসি; তারই কাজল রেখায়।
কি জানি কি নিয়া, পিছু পিছু ঘোরে সারাদিন ধরি,
না দেখে ডেকেছি বরে বারে কোথা গেল ফুলপরি।
আপন কর্মের মাঝে কোথাও যখন শুনেছে নাম,
না জেনে না বুঝে বারে বারে করেছে প্রণাম।
পাপড়ি বিছিয়ে ঘুমাত বধু এলো চুলে,
আমারই অঙ্গ ভরে দিত ফুলে ফুলে।
জানি আমি জানি! কোমল ভীরু রমণরি মন,
তুমি বললে, অঙ্গে সোনার কিবা প্রয়োজন!
বেদনার বীণাপানি বাজাওনা, এ দিকে চাও বধু,
ফিরতে দেরি হলে আনমনে ভাবো কি শুধু!
নিশীথে বসে তপ্ত ললাটে চুমুদিয়ে বসি,
আঁখি জল মুছে বললে, আমি ভালোবাসি।
কাছে না পেলে এমনি করে কাটায় সারা রাত,
চাঁদনি রাতে দাঁড়ায়া থাকো হাত ধরে সারা রাত।
তুমি পুড়ে পুড়ে গন্ধ বিলাও আমার চারিপাশে,
আপন করেছে বধু য়ে আমার ভালোবাসার রসে।
দরিয়াতে উঠলে ঢেউ আর গগণে উড়লে শঙ্খচিল,
অমঙ্গল হবে বলে প্রিয়কে জড়িয়ে ধরে ঘরে দাও খিল।
স্বপ্ন দেখে চমকে উঠে দেখলে যখন আমি পাশে নেই,
অমনি কেঁদে কেঁদে ডাকলে, আমার প্রিয় কই।
আমার নিয়া বধুর ভালোবাসার সব আয়োজন,
ফুলপরি আর আমি দুইজনে মিলে গড়েছি প্রেম কানন।