স্বাধীনতা এসেছে বিজয়ের বেশে, স্বাধীন বাংলায়;
শক্তি দিও আমাদের বহিবার সকল ঝড় ঝঞ্ঝায়।
পতাকা দিয়েছো আমাদের মুক্তির সংগ্রামে,
সেই লাক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে।
বিজয়ের গৌরবে উড়ে লাল-সবুজের পতাকা,
অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে যেন সবাই থাকি একতা।
বিজয়ের পরে খাদ্যের সন্ধানে ছুটেচলি আপন কর্মে,
রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতা আর অর্থনৈতিক মুক্তি দিবে ঘামে।
ভেদাভেদ ভুলে, এসো সবাই মিলি স্বাধীন পতাকা তলে;
কাজের সন্ধানে চলি মাঠে-কলে-অফিসে দলে দলে।
শ্রমিক কর্মচারি ওদের ফেলো না দূরে, অবজ্ঞা করে,
অর্থনৈতিক অর্জনে সবাইকে এগুতে হবে হাতে হাত ধরে।
শ্রমিকের শ্রম, কৃষকের ঘাম, বুদ্ধিজীবির পরামর্শ, জ্ঞানীর মেধা,
ঘুস-দুর্নীতি রুখে, মিলেমিশে কাজ করতে করো না কেউ দ্বিধা।
রাষ্ট্রনেতাদের দূরদর্শিতায় যদি সঠিক পথ দেখাতে পারে,
তবে,অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে জাতির পরতে পরতে।
স্বাধীনতার গর্বে বিজয়ের আবেগে সময় করো না শেষ,
ঘুস দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি রুখে পাচার ঠেকিয়ে বাঁচাও প্রিয়দেশ।
ভালোবাসো মা-মাটি-মাতৃভাষা আর বিশ্বাস করো মানুষকে,
কাজ করো আপন ক্ষেত্রে। তবেই বিশ্ব চিনবে তোমাকে।
রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছো,স্বার্বভৌম দিয়েছে বিশ্ব মানচিত্রে;
ধনি-গরিব, মূর্খ-জ্ঞানি, ছোট-বড় সবাই মিলে কাজ করো একত্রে।
তোমার আমার স্বাধীন পতাকা, বহিতে লাগে অর্থনৈতিক শক্তি,
কর্মসংস্থান বাড়িয়ে বেকার ঠেকাতে দরকার অর্থনৈতিক মুক্তি।
(০২ জুলাই ২০১০)