নিবিড় জ্যোৎস্নায় গভীর রাতে একাকী
বেশ দূরে!
ঘুমন্ত গাছগুলি দাঁড়িয়ে সজ্ঞীবনী সুধা নিয়ে,
কল্লোলহীন জীবন্ত চাঁদের মায়ায়।
আকাশ নদীর ঝুলন্ত লীলাভূমিতে
চেতনাহীন গিরিখাদে!
আকাশে বাতাসে প্রতিটি জলকণিকায়
আত্মস্বার্থ সর্বত্রই ক্ষমতার লোভ।
জ্যোৎস্নায় ঘুরি খন্ডমেঘ আর বাতাসে,
স্মৃতির অরণ্যে!
ঝাঁপিয়ে পড়ি সম্মুখে, কাঁটায় দীর্ণ হৃৎপিণ্ড
সেই বিজয় প্রেমের স্পর্শে!
ঘূর্ণিবর্ত জলে আর খরস্রোতের ফাঁদে
নিত্যময় প্রলোভন।
মিথ্যাচার । প্রতারণা অন্ধকারে ঢেকে দেয় জ্যোৎস্নায় ।
দূরগামী ছায়া, ভাসমান ধোঁয়া।
মিছিলে মিছিলে
তবু গ্লানি ব্যর্থতা আর অস্থিরতা,
দৃশ্যমান আলো ছায়া জ্যোৎস্নায় !
জড়বৃত্তের মাঝে প্রতিনিধি আসে
দিগন্ত থেকে দিগন্তের শীর্ণকায় জনপদে।
নিবিড় জ্যোৎস্নায় ঝিঁঝি পোকাডাকে
একই সুরে একই তানে।
বারেক ফিরে ফিরে প্রবল আগ্রহে
সেই বিশ্বাসে! বেশ দূরে নিবিড় সখ্যতায়
মায়াময় স্মৃতির অরণ্যে।
নীলগ্রহ কেঁপে ওঠে মহাজগতিক সৌন্ধর্যে!
দিগন্তের ক্ষণে ক্ষণে।
লালআভা কখনো কুয়াশার মাঝে।
চিত্রকল্পে ঢুকেছে প্রাগৈতিহাসিক ভ্রান্তি,
অন্ধকারে কেঁপে উঠি ক্ষণে ক্ষণে!
দিগ্বিদিক ছুটি বাকশক্তিহীন অবিশ্বাসে।