আমি খেলা করি ধরণীর ধুলিমাখা মেঠো পথে,
      পিচ ঢালা কালো পথের পাশে গাছের ছায়ায়।
গ্রাম বাংলার অজানা অচেনা কিংবা পরিচিত ফুলের সাথে।
  আমার পদচিহ্ন পড়ে অছে ঐ পরিচিত গোধুলির সাথে,
কাঁনামাছি, দাঁড়িয়াবান্ধা, হাডুডু, হয়তো বা মার্বেল ডাংগুলির সাথে।
বড় শহরের উচ্চ অট্টলিকার ভীড় ছেড়ে
গ্রামে চলো, যান্ত্রিক শব্দ দূষণ যাচ্ছে বেড়ে।
বড় বড় শপিংমল আর মিনাবাজারে
   তীব্র আলোর ঝলকানি , বহুরূপি কারবার।
             গলাকাটা দাম তবুও এসির বাতাস ফ্রি।
আমার ধুলিমাখা মেঠোপথে, শান্তির নীড়ে
         সখ্যতা গড়েছি মাটির মমতায়।
পাখির কলতানে মেতে উঠি ফুলের ঘ্রাণে,
প্রজাপতি, শালিক, দোয়েল, ঘুঘুর উল্লাসে।
সবুজ মাঠে সোনালী ধানের ক্ষেতে,
        আমার পথ চলা ঐ পাতাঝরা মাঠে
বন বননীর শীতল কাননে বসে
            বিচিত্র রূপ বাংলার রূপ আঁকি।
চোরকাঁটা ভরা মাঠে , আঁকা বাঁকা পথে।
              শাপলা কদম শিউলির সাথে।
আমি আমার নদ-নদীর খেয়াঘাটে খঁজে ফিরি
পাল তোলা নৌকার ভীড়ে।
আমাকে নিয়ে চলো যান্ত্রিকতা ছিড়ে!
বাংলার জনপথে চলি, ছায়া সুনিবীড় ধুলিমাখা মেঠো পথে,
কলরব গাছে গাছে বন্ধু তার সাথে,
কাশফুল উড়ে চলে দুলে দুলে।
তারই মাঝে চলি বন বননীর সাথে,
আমার পথ চলা ঐ ধুলিমাখা মেঠো পথে।
                                  



   (০১ জুলাই ২০০৯)