দেখিলাম তাঁকে স্বপনের মাঝে
জ্যোৎস্নার অন্ধকারে,
জনশূন্য নগরের দ্বারে;
দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে তাকে দেখি
নেকাবের নিচে কাজল আঁকা আঁখি।
প্রেমের মাঝে তার ছবি আঁকি
চমকে উঠে বলি এ কি!
নিরবে কেঁদে চলে
জনশূন্য নগরের গরিপথে,
আজ দেখা তার সাথে।
হীরক দ্যুতির মুগ্ধতা ছিঁড়ে
নেকাব ছুঁড়ে মিশে যায় জনতার ভীড়ে।
আবার দেখিলাম তাঁকে প্রভাত ফেরিতে
পতাকা হাতে চলিছে মিছিলে,
আমার সোনার বাংলা বলছে দাঁড়িয়ে
শহীদমিনারে, আম্র কাননে, স্মৃতিসৌধ্যে।
দেখিলাম তাঁকে মুক্তির রনাঙ্গনে
স্বাধীন বাংলার মুজিব নগরে,
মুক্তচিন্তার বন্ধনে;
বাংলার ঘরে ঘরে।
এক হয়ে মিশে যাওয়া জনতার স্রোতে,
শ্রাবণী অন্ধকার থেকে স্বাধীন প্রভাতে।
দেখিলাম তাঁকে গ্রাম বাংলার শাপলা ফোঁটা জলে
নৌকাতে চড়ে অপরূপ রূপে;
ফসলের মাঠে কৃষকের গানে গানে,
বটের ছায়ায় রাখালি সুরে বাংলার প্রাণে।
সবুজে ঘেরা মেঠো পথে, পুষ্প রথে।
দেখিলাম তাঁকে দুখি মানুষের দ্বারে দ্বারে
সারা দিবস-রজনি ঘুরে ঘুরে।
অসহায় অভাগি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে।
দেখিলাম তাঁকে তীর্থ ভূমিতে
স্বর্গ-নরকের পাপ-পূর্ণ বোঝাতে;
”দীনে দয়া করো” মানবতার কাজে,
সত্য কথা বলতে।
দেখিলাম তাঁকে শরণার্থী শিবিরে
দূর্গত মানুষের মাঝে,
সেবা-শুশ্রূষার কাজে।
আবার দেখিলাম তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে
বার্ধক্যে জর্জরিত দুখি মানুষের ভীড়ের মাঝে।
বয়োবৃদ্ধ অসহায় অভাগিদের পাশে,
মনের সাহস যোগাতে।
দেখিলাম তাঁকে লাল-সবুজের পতাকায়
সারা বাংলায় ,
বিজয় মাসের বিজয় দিবসের বিজয় মিছিলে।
(২৯ মে ২০০৯ )