মার খেয়ে মুখ বুজে সহ্য করল, বলল না কোন কথা!
মনে মনে ভাবল ছেলেটি একি প্রকৃতির নিয়ম প্রথা!
খালি গায়ে এই শীতে
মায়ের কাছে চলল প্রভাতে!
এদিকে গৃহকর্তী বলল, তোমার কি কোন দয়া নেই দিলে?
অতটুকু ছেলেকে মারলে! কি করতে তোমার ছেলে হলে!
গৃহকর্তা হেসে বলল, গিন্নি দেখিস্ ওআবার আসবে !
তা না হলে মা-ছেলে কি খাবে! কোথায় কি করবে ?
ছেলেটি থাকে পেটে ভাতে
সকাল সন্ধ্যা কাজের সাথে!
খালি গায়ে যখন জীর্ণ কুটিরে এসে ডাকল ছেলেটি মাকে,
ছুটে এসে অবস্থা দেখে জড়িয়ে ধরল মানিক বলে বুকে।
কোন কথা নেই মুখে, শুধু তাকিয়ে রইল মায়ের মুখের দিকে,
তোর বাবা যদি বেঁচে থাকত আজ, তবে হয়ত থাকতাম সুখে।
কতকথা পড়ছে মনে মায়ের
অশ্রু ঝরছে মা আর ছেলের!
বলছে, বাবা! অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস! এ ভাগ্যের পুরস্কার
যতই দুঃখ আসুক বাবা! ভরসা হারাও না খোদার ওপর।
হে খোদা! কি অন্যায় করেছিল, তুমি করো তার বিচার,
ভেদাভেদ আজ প্রকট! মানুষের কাছে নেই কোন সুবিচার।
মাকে জড়িয়ে পড়েছে ঘুমে
অচেতনে বলছে যাব না ঐ জমে!
বলল মা, না, না বাবা! অমন কথা আর বলো না বাবা,
ভাগ্যের এমন দূর্গতি হবে বলেই মারা গেছে তোর বাবা!
কতো কথা আজ ভীড় করছে দুঃখীনি মায়ের মনে
জনম দুঃখীদের মার খেতে হয় আমরণ অকারণে।
সারা গালে চুমু খায়
সারা গায়ে হাত বুলায়!
আর বলে, বাবা! আমার দিকে তাকায়ে একটি বার হাসো,
নিজের পায়ে দাঁড়ালে , ডাকবে সবাই, বলবে এসো বসো।