আর কত বার যাবে এভাবে চলে!
ওগো সুন্দরী, আমাকে একা ফেলে।
কী আছে সেথায়?
খুব মনে পড়ে আঁধার রজনী বেলায়।
বুঝতে পারি না , কী জানি কী আছে মনে!
সুন্দরী তোমার ছবি আঁকি হৃদয় কোনে।
তুমি হাসো , দেখি আমি মুগ্ধ নয়নে
সংশয় জাগে গোধুলির রক্তিম কিরণে।
বলছো কথা, বধু তোমার যে আঁখি ছলছল;
এভাবে চলে যেয়ে তবে কেন অশ্রুজল।
আজ সংশয়ে মরি!
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে কোথায় ভীড়ায়েছ তোমার তরী?
ভৈরবের জল কূলকূল বহে তবু অপরিচিতা,
লোকমুখে শুনে, অযথা কথায় বানিও না তিতা।
সুন্দরী ললনা, যাবার বেলায় কীসের এতো দীর্ঘশ্বাস!
ঊর্মিমুখর রূপ সাগরে আজ গর্জন বহে জ্বলোচ্ছ্বাস।
গগণে উঠেছে ঐ কালবৈশাখী,
কি কথা কবে বলো ঢেকো না আঁখি।
বলো যাবে না তুমি, র'ব মোরা একসাথে,
যতদুঃখ আসে আসুক সন্ধ্যা কিংবা প্রভাতে।
সুন্দরী মাধুরি, মুখপানে চেয়ে নীরব হাসছ কেন?
দূর দিগন্তে ওটা বিষাদের চিহ্ন যেন!
সুখতারা ওঠে না আজ ,
বিদায় বেলায় এ কোন সাজ!
হাসছো তুমি, আমার এ শ্রাবণ সন্ধ্যায়!
যাবে চলে তুমি তিমিরে ফেলে আমায়।
ছলনাময়ী সুন্দরী! সেথায় কী আছে নতুন জীবন?
বিচিত্র রূপের মাঝে ছলনায় রেখেছ সব গোপন।
বিক্ষুব্ধ সাগরে তরি সেথা নিয়ন্ত্রণহীন,
শান্ত হৃদয় করে চিনচিন।
কী শান্তি আছে সেথায়?
রূপ আর টাকার খেলায়
বেলা বাড়ে বেদনায়,
হৃদয় পোড়ে যাতনায়।
তিমির জলে বিকল হৃদয়ে ভাসে কেশরাশি,
জলকলবর দেহ সৌরভ সবই যেন অতীত বাসি!
(০৬ নভেম্বর ২০০৯)