সমাজের পরিবর্তন আসবে কি করে!
যদি বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা যদি না থাকে
”সাম্য-মৈএী- ভ্রাতৃত্ব” সে তো বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা।
স্বীয় স্বার্থ হাসিলে, কমরেড বিচ্যুত হয়ে
যদি যোগ দিই নব্য বর্জোয়া শিবিরে।
নীতিহীন স্বাধীনতা তখন মতাদর্শ ভুলে,
সরকারি দলের এমপি থেকে মন্ত্রীত্বের স্বপ্নে থাকে বিভোর
আর তখনই ন্যায়-নীতি, বাক স্বাধীনতা ভুলুণ্ঠিত হয়।
বিশ্বাসঘাতকতা করে মতাদর্শের পতাকা উড়িয়ে,
সমাজের দায়বদ্ধতার অজুহতে
সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার যায় গুড়িয়ে।
আমরা হই নির্যাতিত নিষ্পেষিত। সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন
তখন ”কাবিখা” কিংবা অনুদানে থাকে সীমাবদ্ধ।
হিংস্রশাপদের অনাগোনায় বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা শংকিত।
এ জনপদের নিরীহ মুক্তিকামি মানুষের পায়ে
ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে দিচ্ছে বৈদেশিক ঋণের দায়ে।
তখন বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হাবুডুবু খায়,
রাজা আসে রাজা যায় ক্ষমতাসীনরা চরিত্র পাল্টায়
(সমাজের নয়), তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।
তবুও গ্রাম বাংলার মানুষ আশায় বুক বেধে রয়,
হয়ত বুর্জোয়া শ্রেণীর শুভবুদ্ধির উদয় হবে;
মানুষ তার মুক্তবুদ্ধি চর্চার স্বাধীনতা ফিরে পাবে
সমাজে পরিবর্তন আসবে।মানবতার জয় হবে,
সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা যাব এগিয়ে।
বিশ্বদরবরে লাল-সবুজের ঝাণ্ডা উড়িয়ে।
( ১৯ এপ্রিল ২০০৯)