বঙ্গ (শেষ অংশ)
এম. মাহবুব মুকুল
হে বঙ্গ ! বঙ্গ প্রেমিক কাঁদে !!
বিরহ ব্যথায় জাগে জ্যোৎস্না চাঁদে।
ঋতুভেদে লাগে অন্তরে দোলা,
বঙ্গভূমিতে আমার পথ চলা।
চৈত্রের খরতাপে, বৈশাখে বাতাস উঠলে বেগে
কালো মেঘে আকাশ পড়ে ঢেকে।
বর্ষাতে নদীর দু’কুল ভাসায়,
বঙ্গের অপরূপ বর্ষায়।
শীতের শুভ্র কুয়াশা আর খেজুরের রস,
ধন্য আমরা । বাঙলায় যে বসবাস।
নব যৌবনে মাতে প্রকৃতি ঋতুরাজ বসন্ত,
বঙ্গের কোমল মায়াবী রূপ শরত-হেমন্ত ।
হে বঙ্গ ! হে প্রিয় বন্ধু !!
বঙ্গের গন্ধ বন্ধনে তুমি সপ্ত সিন্ধু ।
কি রহস্য তোমার আকাশ মাটি জলে !
মাটির গভীরে অজানা রহস্য , স্বপ্ন যে দোলে।
নীল সাগরে তোল তুমি গর্জ্ ন,
বীর শহীদেরা দেশ রক্ষার্থে দেয় জীবন বিসর্জ্ ন।
হে বঙ্গ ! হে অভিমানী মন !!
অশ্রু বন্ধ করো । থামাও ক্রন্দন।
মাথা উঠাও , দাঁড়াও আবার;
শত্রু-মিত্র মিলে আপন পর।
জাগাও মেলা বন্ধন, প্রীতির বন্ধন
তবেই পাবে বঙ্গবাসির আভিনন্দন।
হে বঙ্গ ! হে বন্ধু তুমি !!
অভিমান তুলে জাগাও সম্প্রীতি ভূমি।
কোথাও সমতল, কোথাও পাহাড় ঝর্ণাটিলা;
মাঝে মাঝে নদ-নদী আর গাছপালা।
বলো বন্ধু ! বলো মোরে বলো !!
আকাশ মেঘে কেন অশ্রু টলমল !
ওকি রাগ ! নাকি প্রকৃতির অভিসাপে ফেটে পড়া ?
নাকি নব রূপে তোমার বঙ্গ ধুয়ে সাফ করা ?
হে বঙ্গ ! হে মোর সুন্দর নদী গিরি
আহা মরিমরি, শরীর উঠল শিহরি।
কবিতায় উঠায় ঢেউ, আনন্দ ব্যথা।
মুগ্ধ বাংলা গানে, অনন্ত কথা।
শয়নে স্বপনে জাগরণে দেখি বাংলার ছবি,
নজরুল, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ, কবিগুরু রবি ।
হে বঙ্গ ! হে বন্ধু !! হে বঙ্গবন্ধু মোর !!!
তোমার তেজে উঠল জেগে বঙ্গতে ভোর।
স্বার্থ্ ক জন্ম এ বঙ্গ ভূমিতে
মিলেমিশে থাকি যেন সুখে-দুখে এক সাথে।