বৈশাখ এসেছে বাংলার মাঝে বাঙালির প্রাণে,
মেতেছে বাঙালি লোকজ উৎসবে, গানে গানে।
গ্রাম শহর নগর বন্দরে,
এক সাথে; ভেদাভেদ ভুলে।
বাঙালির প্রাণের উৎসবে
সবাই মিলে স্বগৌরবে।
বৈশাখ এসেছে চৈত্র সংক্রান্তি শেষে,
তপ্ত খরার বেশে,
বাঙালি হাসে। আজ এ নবান্ন উৎসবে
শুধু নয় বাংলার রমনা বটমূলে
বাংলার গ্রাম গজ্ঞ শহর বন্দরে
সময় এসেছে বাঙালির ঐতিয্য প্রচারে
জারি শারি মুরশিদী লালনের গানে
বাঙালির প্রাণে।
সমবেত কণ্ঠে, এসো হে নবীন বৈশাখি মননে।
আজ সারা বাংলায় উৎসব, এসেছে বৈাশাখ।
নবীনেরা সেঁজেছে বাঙালির শাড়িতে,
পান্তা-ইলিশের ধুম হোটেল কিংবা বাড়িতে।
দলে দলে চলেছে ঐ বৈশাখী মেলাতে।
ধনি-গরিব, তরুণ-তরুণী মিলেছে মিলন মেলাতে।
হাসি আনন্দ আর বিচিত্র রূপে করে খেলা,
এসেছে বৈশাখ। মেতেছে বাঙালি। প্রাণে দেয় দোলা।
চৈত্র সংক্রান্তির উৎসব শেষে,
সেজেছে বাংলা, মেতেছে বাঙালি, আপন ঐতিয্যে।
প্রণের উৎসব বৈশাখী মেলাতে।
এক হয়ে মিশেছে নিজস্ব সংস্কৃতিতে
পাহাড়ি বাঙালি মিলে বৈশাখী উৎসবে।
নতুন হালখাতায়, পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে
ফুল দিয়ে নতুনকে কোলে টেনে হিংসা ঈর্ষা ভুলে।
দেশে দেশে আজ বাঙালির উৎসব। জাতি ভেদ ভুলে,
মেতে ওঠে বাংলা আনন্দে দলে দলে।
এক হয়ে মিশে যায় বৈশাখী উৎসবে।
( ১৪ এপ্রিল ২০০৯ )
( ০১ বৈশাখ্১৪১৬ বঙ্গাব্দ)