আমি বাংলায় দেখি সোনালী প্রভাতের সূর্যোদয়,
বাংলার বুকে উড়া লাল-সবুজের পতাকায়।
দোয়েল শালিক ঘুঘুর গানে
গ্রাম বাংলার মায়ার টানে।
আমি বাংলাকে দেখি কালবৈশাখী ঝড়ে,
ভেঙ্গে করে চুরমার, তবু নতুন আশায় বুক বাঁধে।
মাতৃভূমির প্রিয় টানে, ছুটে চলে সবুজ মাঠের বুকে,
সন্তানসম ভালোবাসে শস্য শ্যামল মাকে।
আমি বাংলায় দেখি শ্রাবণের অবিরাম বর্ষণ,
বন্যা জলে ভাসানো গ্রামীন জীবন।
তবু জেগে ওঠে নতুন জীবনের আশায়,
বসতি গড়ে ভালোবাসায়।
আমি বাংলায় দেখি নবান্নের উৎসব আপন মহিমায়,
সোনালী ধানের মিষ্টি মায়াবী হাওয়ায়।
শিশির দূর্বায় চুবানো , পায়ে জড়ানো;
রূপসী বাংলার সাথে প্রেম করানো।
নগর সভ্যতার মাঝে
গ্রামীন জনপদ সাজানো।
আমি বাংলায় দেখি শান্ত প্রকৃতিতে যাদুর প্রেম কাঠি,
শীতের নকিব হেমন্ত দেয় চিঠি।
শান্ত প্রীতির চমৎকার অনুভূতি,
বাংলা যেন রূপের স্মৃতি।
আমি বাংলায় দেখি শীত কুয়াশায় সূর্য উদাসী,
খেজুর গাছের অপরূপ হাসি।
জড়তার বুড়ি, রোগের বাড়াবাড়ি
শীত পীঠার ছড়াছড়ি।
আমি বাংলায় দেখি নব জীবনে যৌবনের উচ্ছ্বাস,
নব নবীনে সবুজ প্রকৃতি করে গ্রাস।
শিমুলের আগুনলাগা কোকিলের গানে,
বাংলা জেগে ওঠে বাংলার গানে।
(০৩ এপ্রিল ২০১১)