অধুনালুপ্ত গ্রামীন সঙ্গীত মিশে গেছে দিকদিগন্তে ,
প্রবাহিত তীব্র বেদনার মর্মমূলে!
স্বপ্নবুননে মেতেছে নীরব ছায়াগুলো
আকাশজোড়া মেঘে গ্রামীণ সঙ্গীত ভর করে
উদাসী হাওয়ায় উড়ছে মহাশূন্যে;
ডুকরে কেঁদে ওঠে গ্রাম-বাংলা!
আলিঙ্গন করে আধুনিক গ্রামীন সঙ্গীতে!
ঝাঁপসা অনুজ্জ্বল চোখে ভাসে আজও
সেই কোমল উদগীরণ শস্যক্ষেত।
মধুর গুঞ্জনে তোলে শিহরণ,
ছুঁয়ে যায় মুগ্ধতার ছোঁয়া পুর্নবার!
পাগলা বাঁশির চেনাসুরের নৈঃশব্দ স্রোতে;
স্বপ্নের আচ্ছন্নতায় আজও আসর বসে
খোলা আকাশের নিচে শীত পূর্ণিমায়,
অধুনালুপ্ত গ্রামীন সঙ্গীতের সুর।
চেনা সুরে ডাকে পাখি
পালতোলা নৌকায় গেয়ে যায় মাঝি
ব্যথিত জীবনের করুণ কাহিনী!
বাউল-লালনের আবেগ জড়ানো সুরে, বাংলায়
নগর-শহর-বন্দরে ব্যাণ্ড সঙ্গীতের রঙিন আলোয়।
নৃত্য করে ক্ষণিকের তরে
বেদনার মর্মমূলে অধুনালুপ্ত গ্রামীন সঙ্গীত।
সবুজ-শ্যামল শস্য মাঠে
কিংবা না খাওয়া শিশুর কোলাহলের ভীড়ে!
তবুও, স্বপ্ন দেখে বাংলার জনপদে
অধুনালুপ্ত গ্রামীন সঙ্গীত।