তুমি আমার হলে অবশেষে, জীবন বিকেলে;
এখন দেবার কিছু নাই, যৌবন গেছে চলে।
কৌশর পেরোনো উদ্যাম ভরা যৌবন ছিল যখন
মনে কি পড়ে? কেমন ছিল তোমার আচরণ!
গতিতে ছিল দূর্বার, দুরন্ত। কোন কিছু ছিল না মানা,
তোমার বেশ-ভূষা, উঠা-বসাছিল রহস্যেভরা অজানা।
আজ তুমি যখন এলে কাছে সবকিছু চাকচিক্য ফেলে,
আমার আজ দেবার কিছু নাই, যৌবন গিয়েছে চলে।
তোমার আশায় ছিলাম, আচমকা তুমি এলে দ্বারে!
দেখো! আজ এ সন্ধ্যা লগনে একাকী আছি ঘরে।
এমনি কতো রজনী কেটেছে হিসাব রাখিনি সজনী।
জীবন খাতার আজও তার হিসাব মেলাতে পারিনি।
প্রভাত ফেরিতে দেখা, অপলক মন কাড়া চাহনি;
সেই থেকে পাওয়ার আকুতি, তোমায় ভুলেনি।
তবে যখন এলে সেই অবশেষে পড়ন্ত বিকেলে
কাছে এসো,বসো। শুনি, কোথায় ঠিকানা পেলে?
এখন আমার সবই শেষ! এই আছি এই নেই,
তোমার কথাই শুনি, বলো, এখানে আর কেউ নেই।
দেখলাম তার, তখন ভয়ার্ত দু’চোখে অশ্রুরেখা,
করুণ মিনতি স্বরে বলল, ’এ ভূবনে আজ বড় একা’।
কি দিব আজ তোমায়? আমার সব কিছু শেষ,
জীবন বায়ু ছাড়া আর কিছু নাই, নাই বিদ্বেষ।
(১৪ নভেম্বর ২০১২)