আমরা গরিব মিসকিন অভাগা, পেটে নাই ভাত,
খুঁজে ফিরি, চিন্তায় মরি কখন পোহাবে রাত !
খাইনি ক’দিন , পারিনি ক’দিন , আরামে শুতে,
পেটের ধান্ধায় খুঁজে ফিরি রাতদিন ধরণীতে।
কেড়ে নিয়েছে ওরা, আবার করেছে ঘর ছাড়া,
শাসিয়ে চোখ রাঙিয়ে বলে, দেখাচ্ছি ! একটু দাঁড়া।
ঠাঁই নাই ধরণীতে আমাদের দাঁড়াবার মতো
প্রকৃতির বুকে উচ্ছিষ্ট মোরা জঞ্জাল যতো।
পেটে ভাত নাই বলে,
ঠেলে দিচ্ছে ক্ষুধাতুর মৃত্যুর অথৈ গহীন জলে।
জায়গা যতটুকু ছিল জগতের বুকে মোর !
কেড়ে, তাড়িয়ে দিয়েছে। জায়গা হয়েছে ওর।
তবু ওরা মানুষের কাছে সুখ্যাতি পায়,
আমরা কেঁদে কেটে মরি ক্ষুধার জ্বালায়।
কাজ করতে চাই, কিন্তু প্রভাবশালীর চাপে,
ফন্দি ফিকির করে, মারতে চায় ধাপে ধাপে।
ওদের বিরুদ্ধে আমাদের বলার উপায় নাই,
বললে তখন ধরণীর বুকে থাকবে না ঠাঁই।
তবে বলে রাখি ভাই!
মৃত্যু ছাড়া ধরণীর বুকে সত্য কিছু নাই।
পেটে ক্ষুধা ! অর্থ-বিত্ত নাই ! নাই বা থাকুক।
অত্যাচার দমিয়ে শান্তি আনব যতই বিপদ আসুক।
মরব তবু, যতক্ষণ আয়ু আছে আমাদের,
জঞ্জাল সরিয়ে যাব এ অঙ্গীকার মোদের।
সবাই ¯্রষ্টার সৃষ্টি। কোথাও কেউ নয় উচ্ছিষ্ট!
ওদের বিরুদ্ধে জিতলেই লাঘব হবে সব কষ্ট।
ক্ষুধার কষ্ট , জায়গা জমি নাই, কি করি ভাই!
বাংলার বুকে ¯্রষ্টাই দিয়েছে বঙ্গবাসির বাঁচার ঠাঁই।
কাড়াকাড়ি করে, তাড়াতাড়ি চলে, করে কানাকানি,
গরিবকে নিয়ে খেলে, উপকারের ছলে করে টানাটানি।
বিপদকে আজ ভয় করি না, নেই কোন সংশয়;
গরিব কখনো করে না, কারো সাথে কোন অভিনয়।
ঠাঁই নাই! ঠাঁই নাই!! ধরণীতে দাঁড়াবার মতো,
পৃথিবীর বুকে উচ্ছিষ্ট নই আমরা জঞ্জাল যতো।
দুর্নীতি আর জঞ্জাল পৃথিবীর বুক থেকে করব সাফ,
রক্তচোষক ঐ উঁচুতলার লোকদের করব না মাফ।
মরব তবু, যতক্ষণ আছে এ দেহে প্রাণ আমার,
জঞ্জাল সরায়ে বাসযোগ্য করব এ মোর অঙ্গীকার।