উদাস বিকেলে হলুদ খামে এক প্রঞ্জল ভাষায়
স্বপ্নের দোলনী বিস্ময়ের ঝলকানি প্রাপ্তির আশায়,
এক কোনে সাংকেতিক নাম। দু'চোখে ঝলকানি
পড়ার টেবিলে চিঠির ভাঁজে ভাঁজে নোনা পানি।
গীতসুধা মনে উদ্দীপ্ত পদধ্বনি বেঁজে ওঠে সুর
বাইরের দৃষ্টিতে ঘন কুয়াশা; অন্তরে দেখি তোমাকে,
আপন ভূবনে আলোড়ন সাংকেতিক নামে খুঁজি তোমাকে।
স্বপ্নভেজা অলৌকিক অক্ষরে তোমার ছবি বাঁকে বাঁকে।
আমন্ত্রণ লিপি পড়ি বসন্ত বিকেলের কুহক রৌদ্রে,
সাংকেতিক নামে লিখেছিলে আসবে তুমি আগামী ভাদ্রে।
স্বপ্নহীন ক্লান্ত দু'চোখ তবু প্রীতির পরশ ভাঁজে ভাঁজে
নবীন পুষ্পঘ্যে সাজিয়েছ শুভেচ্ছা মালার প্রতিটি কাজে।
পঙক্তির পর পঙক্তি শব্দের দ্যোতনা প্রতিটি পাতায়
সুগন্ধি ছড়ানো এক স্বর্ণগর্ভা তোমার নিজস্ব ভাষায়।
এক বুক আশা, স্বপ্ন ভরসা, খুঁজছি সন্ধ্যা অবধি।
জ্যোৎস্না স্নাত রাতে কিংবা উদাস বিকেলে হেঁটেছি একাকী।
ধূয়াতিত চায়ের কাপে সকাল সন্ধ্যায় ভাবি সাংকেতিক নাম,
লিখেছ তুমি আড্ডা নেই, নেই তুমুল স্মৃতি স্বপ্নের ছড়াছড়ি।
স্মৃতির রোমস্থন জীবনে ছায়াপাত কেন তবে এত আড়ি?
ধীরে ধীরে দুপুর গড়িয়ে মধ্য বিরতি! আমন্ত্রণ লিপি পড়ি।
স্বপ্নের তোরণ ভাসিয়ে আস্থির আমি সেই স্মৃতির প্রত্যাশায়,
আমন্ত্রণ লিপি পড়ি বসন্ত বিকেলের উদাস হাওয়ায়।
অস্থির মন, চঞ্চল নয়ন বারবার খুঁজি নন্দন ভূমিতে
সাংকেতিক নামে লিখেছ ! দেখা হবে বন্ধু তীর্থভূমিতে।
হরিণ টানা চোখের মিহি মিহি কালো ক্ষণিক বিস্ময়
দূর জানালায় খুঁজি দৃষ্টির বাইরে হলুদ খামের ভাষায়।
মুদিত নেত্রে বার বার লিখেছ কাঙ্খিত সাংকেতিক নামে
আমন্ত্রণলিপি আসে উদাস বিকালে হলুদ খামে।




### কবিতাটি  ২০০২ সালে লেখা। যখন চিঠি পত্রের প্রচলন ছিল। দূরের খবরা খবর চিঠিতেই  আদান প্রদান হতো। এখনকার মতো মোবাইল ছিল না।  সেই অতীতের লেখা।