হৃদয় জাগে অপরূপ অমৃত বর্ষণে,
বিষণ্নতা বাড়িয়ে দেয় মেঘের চুম্বনে।
অনুভূতিহীন শরীরে বৃষ্টির ছোঁয়া,
নগ্ন মেঘের পালে লাগে হাওয়া;
কূল নাহি পায়, সম্মুখে ধায়।
মৈত্রী-উদরতা আর প্রণয় নিয়ে
মায়াবী ছোঁয়া দেয় নিষ্প্রাণ দেহে।
প্রেয়সীর দৃষ্টি কদম সন্ধ্যা শ্রাবণে,
নিষ্প্রাণ দেহে বসে থাকে ধ্যানে।
প্রেয়সীর ডাকে চৈতন্য আসে তনুমনে,
কোমল ছোঁয়ায় হৃদয় ভিজে ভিজে;
আপন অনুভূতিতে কথা বলে নিজে নিজে।
অভিমানে ছুটে চলে মেঘের তালে,
প্রেমিকমন সিক্ত বিরহ জলে।
জীর্ণ দুঃখ ব্যথা জমে বুকের জমিনে!
নীরব একাকিত্বে পোড়ে অবিশ্বাসের আগুনে।
চারিদিকে থৈ থৈ তবু বিরহে পোড়ে বর্ষায়
অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে থাকে মন, ছোঁয়ার আশায়।
হৃদয়ে ঝরে অঝোরে বাদল অবিরত
বিরহ বেদনায় হৃদয় তব ক্ষত-বিক্ষত!
গুরু গুরু মেঘে অতৃপ্ত কামনা,
কালো মেঘ ঢেকে দেয় আঁধারে বেদনা।
গৃহকোনে স্মৃতির অন্তরালে ফেরারী অতীতে
বর্ষামুখর রাতে স্বপ্নের সরণীতে,
উচ্ছ্বাসিত আবেগের অব্যক্ত শিহরণ
অনুভবের আঘাতে প্রেমিক হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।
উতলা বনের উত্তল হাওয়া, ভীরু ভীরু মন;
আলপনা আঁকে একাকিত্বে বিরহের যাতন।
দিশেহারা মন বেদনায় সর্বনাশার ঝড়!
স্বপ্নলোকে অথৈ বন্যা, বিরহের আষাঢ়!
কৃষ্ণ-শুভ্র মেঘে খোঁজে জানালায় দাঁড়িয়ে
অমৃত বর্ষণে হয়ত পাবে হৃদয় নীড়ে!
স্বপ্ন আঁকে, অলিগলি খোঁজে, ছিটায় অঞ্জলি।