অথচ, আজও পারিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীপক্ষকে রুখতে।
আমরা আজও পারিনি অসাম্প্রদায়িক ও ন্যায় ভিত্তিক
আদর্শ বাংলাদেশ গড়তে।
আমাদের নিরন্ন-বিপন্ন কৃষক দুর্নীতিবাজ নয়,
শ্রমিক দুর্নীতিবাজ নয়,
অসহায় সাধারণ মানুষ দুর্নীতিবাজ নয়।
তবুও পুরোজাতি বইছে কলঙ্কের বোঝা
দুর্নীতি নামক কলঙ্কের টিপ।
আমরা পারিনি ক্ষত-বিক্ষত আদর্শচ্যূত বাংলাদেশকে
সোনার বাংলা গড়তে।
সহিংসতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও রাজনীতির আবর্তে
আমরা দিশেহারা।
নব্যধনীদের প্রাচুর্য প্রদর্শনের বিশ্রী প্রবণতা
শপিংমল , বিলাসী গাড়ির ছড়াছড়ি
আর ফুটপাতে লক্ষ মানুষের ঠিকানাহীন জীবন।
আমরা পারিনি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কিছু করতে,
আমরা পারিনি বঞ্জনাবোধ, অস্থিরতাবোধ কমাতে।
ঘুষ দেয়া-নেয়াকে আমরা মোটেই অপরাধ মনে করি না,
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবই আজ দলীয় সংকীর্ণতায় পূর্ণ।
প্রশ্নপত্র ফাঁস করে, নকল করে পাস করার প্রবণতা
প্রশাসন নিরব, জ্ঞানের খাতা শূন্য!
আমাদের আদর্শ ধুলোয় লুটোপুটি খায়,
দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর দুর্বৃত্তয়ানের কালো থাবায়।
তাই, আমরা আজও পারিনি বাংলাদেশকে
সোনার বাংলা গড়তে।
আমরা পারিনি আমাদের ছাত্র সমাজকে
পড়ার টেবিলে ফিরাতে,
দলাদলি ছেড়ে একই পতাকাতলে এসে দুর্নীতি রুখতে।
দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়ে
সোনার বাংলা গড়তে।
আমরা পারিনি আমাদের কথা ও কাজের মিল রাখতে,
বড় বেশী কথা বলি অযথা।।
শুধুই প্রতিশ্রুতি,
কাজের বেলায় ফাঁকিবাজি আর দুর্নীতি।