মুক্তির সংগ্রাম আমাদের সত্যোৎসারি আর মুক্তির রণধ্বনি,
গণতন্ত্র আর মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারের জয়ধ্বনি।
মুক্তির জয়লাভ, স্বাধীনতার দায়ভার, আমাদের অঙ্গীকার;
আমাদের স্বাধীনতা,আমাদের পতাকা, আত্মদান বীরজনতার ।
আমরা পাইনি সাম্য, মৈত্রী, শান্তি, স্বাধীনতার সুবিচার;
লঙ্ঘন করে চলেছি মৌলিক অধিকার বারবার।
আর শোষণ মুক্ত সমাজ ! সে তো মরীচিকা;
রাজনৈতিক বক্তৃতা সবই আজ ফাঁকা ফাঁকা!
আমরা কেউ মানতে চাই না সংবিধান আর আইন,
প্রগতিশীল মানবজাতির আমরা এতই স্বাধীন।
বারবার পরিবর্তনে আমাদের সংবিধান প্রশ্নবিদ্ধ!
বড় বড় বুলির কাছে মৌলিক অধিকার অবরুদ্ধ।
কোথায় আমাদের মুক্তির রণধ্বনি; গণতন্ত্রের জয়ধ্বনি?
সমাজপতি, বুদ্ধিজীবি, রাষ্ট্রনেতারা ছাড়েন আড়ম্বরপূর্ণ বাণী।
মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ আর বীর শহীদের প্রাণোৎসর্গ,
আমরা পেয়েছি শ্যামল বাংলাদেশ, লাল সবুজের ভূসর্গ।
কিন্তু আজ! সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা-সুবিচার কোথায়!
বাঙালির জাতিসত্তা, বাংলার মানবাধিকার যায় যায়।
আমরা দিতে পারিনি মহান বীরনেতাদের যোগ্য সম্মান,
তাই তো কুচক্রীমহল ষড়যন্ত্রে বীরদর্পে বলিয়ান।
বাঁচাল প্রত্যাশায়, নবান্নের আশায় ছুটেছি মুক্তির সংগ্রামে,
ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে ফিরি জীবন সংগ্রামে।
আমরা কতটা স্বাধীন! আমাদের প্রগতিশীল সমাজে,
আমরা কতটা গণতান্ত্রিক! বাঙালি জাতীয়তাবাদে;
স্বীয় স্বর্থে দায়মুক্তির বিধান রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাঁদে।
ব্যক্তি স্বাধীনতা আর সুখের অন্বেষণে নেতারা বিপথে,
জনতা অনাহারে মরে! মৃত্যুর দায়ভার উত্তপ্ত রাজপথে।
অপ্রত্যাশিত আকর্ষিক দৈবদুর্বিপাকে রাষ্ট্র চলে ঋণে,
কর ফাঁকি, দুর্নীতি, অবিচার সবই আমাদের অধীনে।
স্বীয়স্বার্থে সমাজপতি, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবিরা বলে “হায়”!
আমাদের জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার বুঝি যায়।
আমরা কতটা স্বাধীন! আমাদের বাসযোগ্য সমাজে;
উত্তর দিতে হবে! সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবি আর নেতাদের।