ঘুমন্ত রজনির নিশুতি রাতে জেগে আছি অসহায়,
আমরা ক’জনে যান্ত্রিক কাজে ব্যস্ত আকাশ ভরা কুয়াশায়।
সবাই যখন অঘোর নিদ্রায় মহাসুখে আছে ঘুমে,
আমরা তখন রাত জেগে উড়োজাহাজ ঠিক করি মহাধুমে।
রাতের খোলা আকাশের নীচে মশার উৎপাত জ্যোৎস্না কুয়াশায়,
বিনিদ্র রজনি কাটে যন্ত্রপাতি গোছাতে গ্রীস্ম-বর্ষা-শীতের বেদনায়।
ঘুমন্ত ধরণীর মধ্য রজনিতে আমরাই থাকি অনিদ্রায়,
ঘুমন্ত পুরির যান্ত্রিক নগরে আমরা যে উড়োজাহাজ উড়াই।
বর্ষা-শীত-কুয়াশায়, মশার উপদ্রবে শরীর মন খোঁজে ঘুম;
দ্রুরুদ্রুরু বুকে, কাজে ডুবে, ম্যানুয়াল খুঁজি না ফেলি দম।
ঘুমন্ত রজনিতে ঘুমে সবাই, আমরাই শুধু জেগে রই;
রবি ডোবে, শশির আলোতে কাজ করে নিশাচর হয়ে রই।
ইট পাথরের মাঝে, কর্ম জীবিকার নেশায় প্রতি রাতকাটে;
অবলীলায় হেঁটে চলি, কর্মের রাজপথে শরীর ক্ষয় হয় বটে।
হৃদয় মনে কুসুম ফোঁটে না, খিটখিটে মেজাজ সংসারে সারাদিন,
ধীরে ধীরে মন সর্বহারা, বেহুশ হয়ে ভাবি, এ যে জীবনের ঋণ।
পাখিদের কলরব, আযানের ধ্বনি শুনে জেগে রই অকুতো ভয়ে,
ঘুমন্ত নগরির ডুবন্ত চাঁদের সাথে জীবন্ত আমরা থাকি নির্ভয়ে।
ঘুম ছেড়ে কাজের অর্জনে আছি, ঘুমন্ত রজনির নিশাচর শহরে;
সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত, ঘুমানোর সুয়োগ নাই, ঘুম থেকে তাই দূরে।
(রচনাকাল: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০)