তুমি বিনে শূন্য হোক মোর জীবন,
শূন্য হোক আজ পৃথিবীর বিপাকে;
সাগরতলের অতল গভীরে,
চৈত্রের খর রোদ্র দহনে,
বর্ষার প্লাবনে রিমঝিম বরিষণে।
বৈশাখী ঝড়ের দাপটা পটে,
অদিনের জলোচ্ছ্বাসের স্রোতিসারে,
ভূমিকম্পনের ভূতকের গভীরে,
দেওলি দেওয়া ঘূর্ণিপাকে,
সাইক্লোন সীডোর সুনামি হারিকেন,
যতো পৃথিবীর বিপাকে ;
শূন্য হোক মোর জীবন তার মাঝে।
শূন্য হোক আজ মোর জীবন তুমি বিনে ;
তুমি বিনে।।
নদী তো ভাঙ্গে তীর আদরের ঢেউয়ে,
ভাঙ্গে তীর গড়ে অন্য ধারে।
তুমি ;
ভাঙ্গলে মোর হৃদয় থরে বিথরে,
গাড়লে না ছোট্ট দ্বিপ মোর পিঞ্জরে।
পিঞ্জরে পিঞ্জরে গুঞ্জরিছে কেবল তোমারি নাম,
গুঞ্জনে গুঞ্জনে গগন গজরে আগুনে,
কষ্ট নিয়েনামে হৃদয় বন্ধনে;
তুমি বিনে।।
ফোঁটায় ফোঁটায় অশ্রুঝরে আঁখি তপটে,
শিরা উপশিরায় টান লাগে,
পেশির কোষ পাচীর ছিন্ন হয়,
ভাঁটায় নামা পানির স্রোত পায় আমার সারা শরীর।
দরদরিয়ে যায় গড়িয়ে অভিমানের বর্ষা,
অভিসারিনীর রাঙা চরন দুটি ভেজাতে।
ও পায়ের ছাপ পরে রয় মোর হৃদয় বন্ধনে কষ্ট নামে।
তুমি বিনে।।
শূন্য হোক মোর জীবন আজ তুমি বিনে,
যে কন্ঠ সারাক্ষণ কাব্য গান আর-
সুরের মর্ছনায় ডুবে থাকতো,
ডুবে থাকতো বহুদরশিদের হাসিতে।
সে কন্ঠে আজ অবহেলিত বাণী;
সারাটা অভিসার জুড়ে চঞ্চল যে হৃদয়,
হঠাৎ কি হলো?
রাতের আঁধারের মতো নিরব হয়ে গেল।
ক্ষণিক ভরে তোমায় নিয়ে লিখবো কি?
কাব্য কবিতা নতুন করে,
আমার হাত তড়পায় ডরে!
তুমি বিনে।।
আজ এ গোধূলি ক্ষণে প্রেমও বৃষ্টি বিনে,
পুড়ে গেল আমার হৃদয় অন্তদহনে;